রাজ্জাক সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৪ সালের আগস্টে। জাতীয় দলের দুয়ারটা বন্ধ হওয়ার আগে এই বাঁহাতি স্পিনারের উইকেট ছিল ২০৭টি। সাকিবের তখন উইকেটের সংখ্যা ১৭১। ৩৬ উইকেটের এই দূরত্ব ঘোচাতে সাকিবের লেগেছে ২১ ওয়ানডে। আজ রহমত শাহকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে শুধু দীর্ঘ একটা জুটিই ভাঙেননি, সাকিব উঠে গেছেন শীর্ষে। তিন ধরনের ক্রিকেটে আলাদাভাবেই বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে গেলেন তিনি।
প্রিয় সতীর্থের কীর্তি আপ্লুত করছে রাজ্জাককেও, ‘আমার রেকর্ডটা তেমন বড় কিছু নয়। হয়তো আমাদের প্রেক্ষাপটে বড়। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটের তুলনায় তেমন কিছু নয়। সাকিব এটা ভাঙবে আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। অবশেষে সে পেরেছে।’
সাকিব যখন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলেছে, তখন থেকেই তাঁকে চিনতেন রাজ্জাক। তবে প্রথম কাছ থেকে দেখা ২০০৬ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। একই বছর আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের আন্তর্জাতিক অভিষেক। সাকিব যে বহুদূর যাবে, সেটি রাজ্জাক বুঝেছেন বহু আগেই, ‘ও যখন জাতীয় দলে এল, আমি-মাশরাফি প্রায়ই বলাবলি করতাম, এই ছেলেটা দেখবি বাংলাদেশের হয়ে অনেক কিছুই করবে। কেন মনে হতো জানি না। সাকিব কত দূর এগিয়েছে, সেটা তো এখন দেখতেই পারছেন।’
গত কিছুদিনে ওয়ানডেতে সাকিবের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার কীর্তি নিয়ে নানা আলোচনা হলেও তাঁর সঙ্গে অবশ্য এ নিয়ে রাজ্জাকের কোনো কথা হয়নি, ‘ওর সঙ্গে রেকর্ড-টেকর্ড নিয়ে কথা হয়নি কখনোই। যখন টিম মেট ছিলাম, তখন খেলা নিয়েই বেশি আলোচনা হতো।’
সাকিব আরও সামনে এগিয়ে গিয়ে রাখবেন নিশ্চয়ই রেকর্ডটা। রাজ্জাকের মতে, সাকিবের রেকর্ড ভাঙা কঠিন হবে পরবর্তী প্রজন্মের বাংলাদেশের বোলারদের জন্য।