ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, ছায়েদুল হক জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সিদ্ধান্ত মানেন না। এ ছাড়া গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সমন্বয় না করে এবং জেলা আওয়ামী লীগকে সিদ্ধান্ত অমান্য করে পছন্দমতো প্রার্থী বাছাই করেছেন। এ জন্য দলের কার্যকরী সভায় সর্বসম্মতভাবে তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো প্রকার সমন্বয় না করে ছায়েদুল হক একক ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন করেন। ইউপি নির্বাচনের সময় উপজেলার গুনিয়াউক ও হরিপুর ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ছায়েদুল হক ও তাঁর সমর্থকেরা অবস্থান নিয়েছিল। এমনকি তাদের পরাজিত করতে নানা চেষ্টা করেছেন। এ কারণে গত ২৫ জুনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ছায়েদুল হককে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে সময় রাফিজ উদ্দিনকেও কারণ দর্শানো হয়। কিন্তু ছায়েদুল হক কারণ দর্শানোর কোনো জবাব দেননি। ফলে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে তাকে উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর উদ্ধত আচরণ ও অশালীন শব্দে শোকজ নোটিশের জবাব দেওয়ায় সভায় রাফিজকে সাময়িক বহিষ্কার করে দ্বিতীয়বার শোকজ করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকারকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার জন্য সতর্ক করা হয়।
গতকালের সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রশাসক সৈয়দ এমদাদুল বারী, দলের সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহ সভাপতি ও পৌর মেয়র নায়ার কবীর, সহ সভাপতি সাবেক সাংসদ শাহ আলম, সহ সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন প্রমুখ।