শাজাহান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন, তা বাস্তবায়ন করেন। তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশে আমি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে চিলমারীতে এসেছি। আজ থেকে শুরু হলো চিলমারী বন্দরের কার্যক্রম।’ তিনি আরও বলেন, চলতি বছরে এখানকার নদ-নদীর ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হবে।
মন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাটে বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এরপর এক সুধী সমাবেশে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের মধ্যে চেক বিতরণ করেন। মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, শিগগিরই সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করা হবে।
বিকেল চারটার দিকে চিলমারী ঘাটে চিলমারী নৌবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর সভাপতিত্বে মন্ত্রী থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
দুটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সাংসদ এ কে এম মাঈদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও সাবেক সাংসদ মো. জাফর আলী, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সাংসদ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, বিআইডব্লিউআরটিএ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মণ্ডল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্রাহাম লিংকন, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক সফিকুল হক প্রমুখ।