সখিপুরের ইউএনও-ওসিকে তলব হাইকোর্টের

Slider বাংলার আদালত

578b5277e7a51a72ee13da8cd0604c25-images

ঢাকা; ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এক শিক্ষার্থীকে দুই বছর সাজা দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তলব করেছেন হাইকোর্ট।

২৭ সেপ্টেম্বর সকালে আদালতে হাজির হয়ে এই দুই কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এই আদেশ দেন।

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আজ আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন। একই সঙ্গে কারাদণ্ড পাওয়া শিক্ষার্থী সাব্বির শিকদারকে জামিন দেন আদালত। ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁকেও আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, প্রতিবেদনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাংসদ অনুপম শাহজাহানকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়। এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই শিক্ষার্থীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। জিডি হলে তদন্ত হবে। তদন্ত ছাড়া এভাবে দণ্ড দেওয়া যায় না।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শামসুদ্দোহা তালুকদার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিতে পারেন না। মন্তব্যের জেরে জিডি হয়েছে। এর তদন্ত হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ওই শিক্ষার্থীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত দণ্ড দেন। এটা কেন হলো, তার ব্যাখ্যা জানতে ইউএনও ও ওসিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *