কাশ্মীরের উরি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। এরই মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে। বৈঠকে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এর আগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসী দেশ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। হামলায় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতার কথাও জানিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। দেশটির সামরিক কার্যক্রমের মহাপরিচালক রণবীর সিং জানিয়েছেন, এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। ওদিকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান রাহেল শরীফ বলেছেন, যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পাকিস্তান সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। জেনারেল শরীফ আরো বলেন, আমরা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত। এই অঞ্চলের সর্বশেষ সব ঘটনা ও পাকিস্তানের নিরাপত্তায় এর প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যে কোনো ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুমকি মোকাবিলার জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই, বার্তা সংস্থা রয়টার্স, এআরআই নিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
খবরে বলা হয়, উরি সামরিক ঘাঁটিতে রোববার ভোরের হামলায় ১৮ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। সন্ত্রাসী এই হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকেই দায়ী করছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, হামলায় ব্যবহৃত বিভিন্ন নমুনাতে স্পষ্টতই এর সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। হামলার পর রোববারেই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, সামরিক কার্যক্রমের মহাপরিচালক, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর মহাপরিচালকসহ স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকের পর এক টুইটে তিনি পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসী দেশ’ হিসেবে অভিহিত করেন। পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ পরিচয়ে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উরি হামলা নিয়ে গতকাল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকারসহ রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকেও পকিস্তানকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরাম বা দল থেকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, এই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে ভারতের হাতে। এসব তথ্য প্রমাণের মধ্যে রয়েছে একটি জিপিএস ট্র্যাকারের চলাচলের তথ্য যা পাকিস্তান পর্যন্ত গিয়েছে। এছাড়া হামলাকারী সন্ত্রাসীদের পশতু ভাষায় কথা বলা ও হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চিহ্নও পাওয়া গেছে। ওই সূত্রটি জানায়, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে ভারত উরি হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার সব ধরনের প্রমাণ হাজির করবে। এই বৈঠকের আগে গতকাল সকালে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরো একটি বৈঠক করেন রাজনাথ সিং। বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, উরি হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়েই আলোচনা করা হয় ওই বৈঠকে।
এদিকে উরি হামলার প্রাথমিক তদন্তে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। হামলার পরপরই ভারতের সামরিক কার্যক্রমের মহাপরিচালক রণবীর সিং জানিয়েছিলেন যে, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত অস্ত্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চিহ্ন পাওয়া গেছে। এটা নিয়ে তিনি পাকিস্তানের সামরিক কার্যক্রমের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। রণবীর সিং বলেন, ‘এই হামলার পেছনে ছিল বিদেশি সন্ত্রাসীরা। আমাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ভূমিকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। হামলাকারী চার সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার পর তাদের কাছে চারটি একে-৪৭, চারটি আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার ও যুদ্ধে ব্যবহৃত অন্যান্য অস্ত্র পাওয়া গেছে। সব অস্ত্রেই পাকিস্তানের চিহ্ন রয়েছে।’ তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এই হামলার সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত।
এই হামলার জবাব কিভাবে দেয়া হবে তা নিয়েও ভারতে চলছে আলোচনা। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে ভারতের সামনে থাকা সম্ভাব্য বিকল্পগুলোর কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অধীনস্থ কাশ্মীর অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে গুপ্ত হামলা চালানো হতে পারে। তবে এ ধরনের হামলা পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সূচনা করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে ‘হট পারস্যুট’-এর কথা। ২০১৫ সালে ভারতের মনিপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৮ সেনা নিহত হলে ভারতীয় সেনাবাহিনী মিয়ানমারের সীমান্ত পেরিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলা করে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও সীমান্ত পেরিয়ে একই ধরনের হামলার কথা আলোচনায় রয়েছে। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় আলোচনা, আন্তর্জাতিক কূটনীতি প্রভৃতি বিষয়ও রয়েছে আলোচনায়। এর মধ্যে টাইমস অব ইন্ডিয়াতে একটি অনলাইন জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে, যাতে জানতে চাওয়া হয়েছে এই পরিস্থিতিতে ভারত কিভাবে জবাব দিতে পারে। জরিপে এখন পর্যন্ত ৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে সর্বশক্তি দিয়ে আক্রমণের পক্ষে।
এদিকে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উরি হামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান সুনিশ্চিতভাবে মোদি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের করা এই ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে।’ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাফিজ জাকারিয়া বলেছেন, ভারতে কোনো সন্ত্রাসী হামলা হলেই তার জন্য পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলা ভারতের রীতিতে পরিণত হয়েছে। রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের অধীনস্থ কাশ্মীরে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে তা আড়াল করতেই এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অধিকৃত কাশ্মীরে করা অপরাধ লুকিয়ে রাখতে পারবে না ভারত। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ কাশ্মীর ইস্যু গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরবেন বলেও জানান তিনি।
খবরে বলা হয়, উরি সামরিক ঘাঁটিতে রোববার ভোরের হামলায় ১৮ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। সন্ত্রাসী এই হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকেই দায়ী করছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, হামলায় ব্যবহৃত বিভিন্ন নমুনাতে স্পষ্টতই এর সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। হামলার পর রোববারেই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, সামরিক কার্যক্রমের মহাপরিচালক, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর মহাপরিচালকসহ স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকের পর এক টুইটে তিনি পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসী দেশ’ হিসেবে অভিহিত করেন। পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ পরিচয়ে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উরি হামলা নিয়ে গতকাল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকারসহ রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকেও পকিস্তানকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরাম বা দল থেকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, এই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে ভারতের হাতে। এসব তথ্য প্রমাণের মধ্যে রয়েছে একটি জিপিএস ট্র্যাকারের চলাচলের তথ্য যা পাকিস্তান পর্যন্ত গিয়েছে। এছাড়া হামলাকারী সন্ত্রাসীদের পশতু ভাষায় কথা বলা ও হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চিহ্নও পাওয়া গেছে। ওই সূত্রটি জানায়, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে ভারত উরি হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার সব ধরনের প্রমাণ হাজির করবে। এই বৈঠকের আগে গতকাল সকালে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরো একটি বৈঠক করেন রাজনাথ সিং। বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, উরি হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়েই আলোচনা করা হয় ওই বৈঠকে।
এদিকে উরি হামলার প্রাথমিক তদন্তে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। হামলার পরপরই ভারতের সামরিক কার্যক্রমের মহাপরিচালক রণবীর সিং জানিয়েছিলেন যে, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত অস্ত্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চিহ্ন পাওয়া গেছে। এটা নিয়ে তিনি পাকিস্তানের সামরিক কার্যক্রমের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। রণবীর সিং বলেন, ‘এই হামলার পেছনে ছিল বিদেশি সন্ত্রাসীরা। আমাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ভূমিকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। হামলাকারী চার সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার পর তাদের কাছে চারটি একে-৪৭, চারটি আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার ও যুদ্ধে ব্যবহৃত অন্যান্য অস্ত্র পাওয়া গেছে। সব অস্ত্রেই পাকিস্তানের চিহ্ন রয়েছে।’ তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এই হামলার সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত।
এই হামলার জবাব কিভাবে দেয়া হবে তা নিয়েও ভারতে চলছে আলোচনা। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে ভারতের সামনে থাকা সম্ভাব্য বিকল্পগুলোর কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অধীনস্থ কাশ্মীর অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে গুপ্ত হামলা চালানো হতে পারে। তবে এ ধরনের হামলা পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সূচনা করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে ‘হট পারস্যুট’-এর কথা। ২০১৫ সালে ভারতের মনিপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৮ সেনা নিহত হলে ভারতীয় সেনাবাহিনী মিয়ানমারের সীমান্ত পেরিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলা করে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও সীমান্ত পেরিয়ে একই ধরনের হামলার কথা আলোচনায় রয়েছে। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় আলোচনা, আন্তর্জাতিক কূটনীতি প্রভৃতি বিষয়ও রয়েছে আলোচনায়। এর মধ্যে টাইমস অব ইন্ডিয়াতে একটি অনলাইন জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে, যাতে জানতে চাওয়া হয়েছে এই পরিস্থিতিতে ভারত কিভাবে জবাব দিতে পারে। জরিপে এখন পর্যন্ত ৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে সর্বশক্তি দিয়ে আক্রমণের পক্ষে।
এদিকে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উরি হামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান সুনিশ্চিতভাবে মোদি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের করা এই ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে।’ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাফিজ জাকারিয়া বলেছেন, ভারতে কোনো সন্ত্রাসী হামলা হলেই তার জন্য পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলা ভারতের রীতিতে পরিণত হয়েছে। রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের অধীনস্থ কাশ্মীরে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে তা আড়াল করতেই এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অধিকৃত কাশ্মীরে করা অপরাধ লুকিয়ে রাখতে পারবে না ভারত। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ কাশ্মীর ইস্যু গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরবেন বলেও জানান তিনি।