নাটকীয়তা শেষে খোঁজ মিলেছে বৈরাগীর

Slider বিচিত্র

32108_boiragi

 

ঢাকা; অনেক নাটকীয়তা শেষে খোঁজ মিলেছে প্রবীণ অভিনেতা, নির্মাতা ও নাট্যকার ফখরুল হাসান বৈরাগীর। ফিরে এলেও এখনো পরিবার তাকে পায়নি। সোমবার দুপুরে রাজধানীর কলাবাগান থানায় এসে হাজির হন বৈরাগী। তার ফিরে আসার খবরে চারদিকে হইচই পড়ে যায়।
তবে কিছুক্ষণের মধ্যে আবারও সবার আড়ালে চলে যান বৈরাগী। এরই মধ্যে খবর পেয়ে তার স্ত্রী রাজিয়া হাসান ছুটে যান কলাবাগান থানায়। কিন্তু ৪১ দিন পর স্বামীর খোঁজ পেয়েও কাছে পেলেন না। বরংচ থানা থেকে তাকে জানানো হয়, বৈরাগী রাজিয়ার বিরুদ্ধে অত্যাচার ও নির্যাতনের অভিযোগ করেন। এরপরই বৈরাগী চলে যান। কিন্তু কোথায় যান সেটার কোনো খবর মিলেনি। এদিকে তার কিছুক্ষণ পরই বৈরাগীর একটি ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে। সেই ভিডিওবার্তার মাধ্যমে বৈরাগী নিজের অবস্থান তুলে ধরেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, গত ১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। আমি কোথাও নিখোঁজ হইনি। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক আছি। আমার নিখোঁজ সংবাদটি নিয়ে স্ত্রীর পরিচয়দানকারী রাজিয়া হাসান গণমাধ্যমে যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ওই মহিলার সঙ্গে আমি কোনো ধরণের সম্পর্ক রাখতে চাই না। আমার বাকি জীবনটা সুস্থ-সবল ও সুন্দরভাবে কাটাতে চাই। ভালোভাবে যেন থাকতে পারি সেই দোয়া কামণা করি সবার কাছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আমি নিজের বর্তমান অবস্থান বলছি না। তবে আমি ভালো আছি। আর সে সঙ্গে স্বজ্ঞানে ও সুস্থ মস্তিষ্কে আরও বলতে চাই, আমি কারও চাপে পড়ে ও প্ররোচিত হয়ে এসব কথা বলছি না। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
এদিকে ভিডিও বার্তাটি প্রকাশের কিছুক্ষণ আগে রাজিয়া হাসানের সঙ্গে কথা হলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমি থানায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এখন(প্রতিবেদনটি লেখার সময়) বের হলাম। আমার স্বামীর খোঁজ মিলেছে এমন খবরে আমি কলাবাগান থানায় যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাকে আর খুঁজে পাইনি। কোথায় গেছে সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি কেউ।  তবে থানায় এসে বৈরাগী নাকি আমার বিরুদ্ধে অত্যাচার নির্যাতনের অভিযোগ করে গেছে। আমি জানি এসব সে স্বজ্ঞানে বলেনি। তাকে দিয়ে জোরপূর্বক এসব কথা বলানো হয়েছে। আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল বৈরাগীকে কারা আটকে রেখেছে। তার আগের সংসারে বড় ছেলে ইমু এসব কাজ করছে। আমি আর কিছু ভাবতে চাই না। স্বামী ফিরে পাওয়ার জন্য আইনগতভাবে যা যা করার দরকার সবই করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *