কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ফজলে রাব্বী বলেন, এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে আজ রোববার মামলা করেছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ওই কিশোরী প্রথমে পরিচিত যুবকের দ্বারা এবং পরে কয়েকজন স্থানীয় বখাটে যুবকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। এ মামলায় প্রদীপ শীল (২৭) ও মো. নাজমুল হক সোহাগ (২৫) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি জানান, প্রদীপের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায়। তিনি আনসার সদস্য হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত। আর মো. নাজমুল হক সোহাগ মুছাপুর ক্লোজার এলাকার সংরক্ষিত বনের অস্থায়ী বনপ্রহরী। প্রদীপকে আজ নোয়াখালীর বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর নাজমুলকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। আর ধর্ষণের শিকার কিশোরীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
ছোট ফেনী নদীর ভাঙন থেকে উপকূলীয় এলাকা রক্ষার পাশাপাশি নতুন ডাকাতিয়া, পুরোনো ডাকাতিয়া-ছোট ফেনী নদীর পানিনিষ্কাশন প্রকল্পের আওতায় ছোট ফেনী নদীতে ২০১৫ সালে প্রায় ১১০০ মিটার দৈর্ঘ্য ‘মুছাপুর ক্লোজার’ (পানিপ্রবাহ বন্ধের বিশেষ ব্যবস্থা) নির্মাণ করা হয়। এটি দর্শনার্থীদের কাছে ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে পরিচিত।