রাজশাহীত; সাত বছরের শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার পর মা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। নগররের নতুন বুধপাড়া এলাকায় শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত মা তাসলিমা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির লাশ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
শিশুটির নাম শাহরিয়ার আলম কাব্য। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত শেখ রাসেল মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবা রফিকুল ইসলাম নগরের মেহেরচ-ী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, নগরের বুধপাড়া ঢালান এলাকায় রফিকুল ইসলামের একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। স্কুল থেকে ফিরে বিকেলে তিনি দোকানে বসেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনি বাসায় ফিরে দেখেন যে শোয়ার ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তিনি ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িকে খবর দেন। নগরের সাগরপাড়া এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। খবর পেয়ে তাঁরা এসে ডাকাডাকি করে ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। এরপর তাঁরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন যে তাসলিমা অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। তাঁর মাথায় জখম। আর শিশু শাহরিয়ারের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। দুজনকেই পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওসি বলেন, যেহেতু শিশু শাহরিয়ার ও তার মা ছাড়া ঘরের ভেতরে কেউ ছিল না। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেকে হত্যার পরে মা নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তিনি আরও বলেন, হত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন যে শিশুটির মা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন।