জাহাঙ্গীরের মতো আরও আটজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ছেলেটির নাম জোবায়ের। তাঁর বাবা আনোয়ার আলম টাম্পাকো কারখানার বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের ১০২ নম্বর কক্ষে চিকিৎসাধীন। চার দিন হয়ে গেল জ্ঞান ফেরেনি। মুখমণ্ডল ঝলসে গেছে। বাবার এমন অবস্থা দেখে ভেঙে পড়েছেন জোবায়ের। তিনি টঙ্গীর সরকারি কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী।
হাসপাতালের বিছানায় বসে জোবায়ের বলছিলেন, ‘বাবাই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি টাম্পাকোর সিকিউরিটি ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। বাবা আজ গুরুতর অসুস্থ। আমাদের লেখাপড়ার খরচ কীভাবে আসবে, জানি না। বড় খারাপ সময় যাচ্ছে।’
জাকির হোসেন টাম্পাকোয় মেশিন পরিচালনা করতেন। কারখানায় বিস্ফোরণের ১০ মিনিট আগে তিনি ওই ভবনে ঢোকেন। গুরুতর অসুস্থ জাকির হোসেনের স্ত্রী হেলেনা বেগম বলছিলেন, ‘ঈদের দিন আনন্দে থাকার কথা, অথচ আজ বড় দুঃখের দিন!’
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মীর শিপনের জ্ঞান ফেরেনি। চার দিন ধরে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি। মুখ আগুনে ঝলসে গেছে। তাঁর স্ত্রী বেডে বসে আছেন। কিছুক্ষণ পরপরই বলছিলেন, ‘কারও জীবনে যেন এমন দিন না আসে।’
সিলেটের ঋজু হোসেনের ছোট ভাই মিঠু। তাঁর বয়স ১৫ বছর। সে বারবারই বলছিল, ‘আজকে ঈদের দিন। অথচ ঈদটাই কাটাতে পারলাম না। ভাইয়া কোনো কথা বলছেন না। ডাকলে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে।’