সৌদিআরব: ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নিয়ামাতা, লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাকা।’ অর্থাৎ হাজির হে আল্লাহ হাজির, আপনার মহান দরবারে হাজির। আপনার কোন শরিক নেই। সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই।
হজযাত্রীদের সমস্বরে এ উচ্চারণে আজ প্রকম্পিত হচ্ছে পবিত্র, ঐতিহ্যবাহী আরাফাতের ময়দান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাওয়া হজযাত্রীরা সব ভেদাভেদ ভুলে আজ মহান আল্লাহর ডাকে সমবেত হচ্ছেন এখানে। এই সেই আরাফাতের ময়দান যেখানে দাঁড়িয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি বুকে ধরে হজযাত্রীরা এখানে ইবাদত বন্দেগিতে কাটিয়ে দেবেন সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এই ময়দানে আজ তারা একসঙ্গে আদায় করবেন যোহর ও আছরের নামাজ। তার আগে খুৎবা দেয়া হবে পবিত্র মসজিদে নামিরা থেকে। এখানে আজ সবাই মিলে এক জাতিÑ মুসলিম। সবাই এক আল্লাহর অতিথি। আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়া ও সেখানকার ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করাকেই হজের প্রধান অংশ বলা হয়। তাই এ দিনকে হজের দিন বলা হয়। আজ দুপুরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হজযাত্রীরা অবস্থান করবেন এখানে। এর মধ্যে মসজিদে নামিরা থেকে খুৎবা দেয়া হবে। হজযাত্রীরা ইমামের পিছনে একসঙ্গে জোহর ও আছরের নামাজ আদায় করবেন। এর আগে গতকাল জোহরের নামাজের আগেই মিনায় পৌঁছেন লাখ লাখ হজযাত্রী। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় পবিত্র হজের ৫ দিনের আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার দিবাগত রাত মিনাতেই অবস্থান করেন হজযাত্রীরা। সেখানে আজকের ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় শেষে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তারা ছুটেছেন আরাফাতের ময়দানে। মিনা থেকে আরাফাতের ময়দান ১০ কিলোমিটার বা ৬ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে। আজ মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করেই কেউ পায়ে হেঁটে, হুইল চেয়ারে, বাসে করে, যে যেভাবে পারেন সেভাবেই ছুটছেন আরাফাতের ময়দানে। দু’টুকরো সাদা কাপড়ে ঢাকা হজযাত্রীতে যেন আরাফাতের ময়দান ও এর আশপাশ সফেদ রূপ ধারণ করেছে। আজ এখানে মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই হজযাত্রীরা রওনা দেবেন মুজদালিফার দিকে। এবার হজ করছেন প্রায় ২০ লাখ মুসলিম।