প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রান্ত, বৃহত্তর বরিশাল থেকে : পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলাধীন মালিখালী ইউনিয়নের সাচিয়া গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী (১২) অপহরণের ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে শুক্রবার দুপুরে নাজিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ শুক্রবার বিকেলে অপহরণকারীদের বাড়ি থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। অপহৃত ওই ছাত্রী উপজেলার মালিখালী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনির শিক্ষার্থী এবং উপজেলার সাচিয়া গ্রামের ফায়েক শিকদারের মেয়ে। থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুল ছাত্রী স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের এনায়েত হাওলাদারের ছেলে মুরাদ হাওলাদার তাকে বিরক্ত করত। গত ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। দুপুরের দিকে মুরাদ তার সহযোগীদের সহায়তায় ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল থেকে বের করে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ে ওই ছাত্রী বাড়ীতে না ফেরায় তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজা-খুঁজি করা হয়। কোন সন্ধান না পেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীর পিতা নাজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে জানতে পারেন মুরাদ হাওলাদার তার সহযোগিদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেছে। বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে মুরাদের চাচা স্কুল শিক্ষক শাহজাহান হাওলাদার ও নানা চাঁন মিয়া হাওলাদার ওই ছাত্রীকে ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ওই ছাত্রীকে ফিরিয়ে না দেয়ায় ছাত্রীর পিতা শুক্রবার দুপুরে নাজিরপুর থানায় অপহরণ ও অপহরণে সহায়তার অভিযোগে মুরাদসহ ৬ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। মামলা রুজুর পর নাজিরপুর থানার এসআই আব্দুর রহিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী মুরাদের বাড়ি থেকে অপহৃত ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করলেও অপহরণকারীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নাজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাসেল সরোয়ার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েই মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা রুজুর পরপরই তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুর রহিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।