টঙ্গী; গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্প নগরীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস নামের প্যাকেজিং কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ২৬ জনের দাড়িয়েছে।
নিহতদের লাশ টঙ্গী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অর্ধশতাধিক। আজ শনিবার সকাল ছয়টার দিকে কারখানায় এ বিস্ফোরণ ঘটে। পরে আগুন নেভাতে জয়দেবপুর, টঙ্গী, কুর্মিটোলা, সদর দপ্তর, মিরপুর ও উত্তরাসহ আশে-পাশের ২৫ টি ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা এক যোগে কাজ করেন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- জয়নাল আবেদিন (অপারেটর), আনোয়ার হোসেন (অপারেটর), শংকর (ক্লিনার), রেদোয়ান (দারোয়ান), জাহাঙ্গীর (নিরাপত্তাকর্মী), হান্নান মিয়া (নিরাপত্তাকর্মী), রফিকুল ইসলাম (শ্রমিক), ইদ্রিস, আল মামুন, নয়ন, সুভাষ, জাহিদুল, রাশেদ (রিকশাচালক)। এদিকে বেলা সোয়া ১১টায়ও পাঁচতলা ওই ভবনে আগুন জ্বলছিল। বাতাসের কারলে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা। জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান, অগ্নিকা-ে পাঁচ তলা কারখানা ভবনের দুটি তলা ধ্বসে গেছে। পাশের একটি ভবনও ধ্বসে গেছে। জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, সকাল ৬টার দিকে কারখানার কাজ চলছিল। এসময় নিচ তলায় বয়লার বিস্ফোরণ ঘটে আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। কী কারণে বয়লার বিস্ফোরণ ঘটেছে, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। এদিকে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম কারাখানা পরিদর্শনের পর পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গাজীপুর জেলা প্রশাসন নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের ৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কারখানার মালিক সিলেটের সাবেক বিএনপি সাংসদ সৈয়দ মো. মকবুল হোসেনও হতাহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, কারখানায় মোট সাড়ে ৪শর মতো শ্রমিক কাজ করে। কয়েকদিন আগেই সবার ঈদের বোনাসসহ বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। আজ শনিবার ঈদের ছুটি হওয়ার কথা ছিল।