কামারপাড়ার টুং টাং শব্দ

Slider বাংলার সুখবর

14256629_535309223319096_1879276859_n

 

জহির উদ্দিন বাবর, রাজাপুর ,ঝালকাঠি:  গ্রামের লোকজন গরু, মহিষ, ছাগল জবাই ও মাংশ তৈরীর কাজের জন্য কামারশালা গুলোতে প্রয়োজনীয় ধারালো দা, বটি, ছুরি ও চাকু তৈরীর আগাম অর্ডার দেওয়া শুরু করেছে ।

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ঝালকাঠির রাজাপুরের কামারপাড়ায় চলছে নির্ঘূম কর্মব্যস্ততা। হাঁপরের ফাঁসফাঁস, পোড়া কয়লার গন্ধ আর হাতুড়ি পেটানোর টুং টাং শব্দে তৈরী হচ্ছে পশু জবাইয়ের কাজে ব্যবহৃত এসব হরেক রকমের যন্ত্রপাতি। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি চলছে কামারদের একটানা বিরামহীন ব্যস্ততা। ফলে এসময়ে দম ফেলার ফুসরত নেই কামারদের। কর্মকার দীপক দাস জানায়, কোরবানী এলেই অতিরিক্ত ছুরি চাপাতির প্রয়োজন পড়ে। স্প্রিং লোহা ও কাঁচা লোহা ব্যবহার করে সাধারণত এসব হাতিয়ার তৈরী করা হয়। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন দাম একটু বেশি । দা, বটি, ছুরি শান দেওয়া ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, বাজারে বিভিন্ন ধরনের চকচকে ও কম মূল্যে চাইনিজ ছুরি, চাপাতি পাওয়া যাচ্ছে।যার কারণে লোহার তৈরীর জিনিসের ব্যাবহার দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। বর্তমানে কামার শিল্পকে গিলে খাচ্ছে চায়না বাজার। ভবিষ্যতে প্রাচীণ এ ক্ষুদ্রশিল্প কামারশালাকে টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। ফলে বিরুপ প্রভাব পড়বে দেশীয় ঐতিহ্য কামার শিল্পের উপর। আর্থিক সংকট ও নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে ধিরে ধিরে বিলুপ্তির পথে এ কামার শিল্প।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *