জহির উদ্দিন বাবর, রাজাপুর, ঝালকাঠি; ঝালকাঠির রাজাপুরের একমাত্র স্থায়ী ঐতিহ্যবাহি বাগড়ি বাজার গরুর হাট সহ জেলার ৩৪টি হাটে শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এখন ক্রেতা বিক্রেতাদের হাকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে হাটগুলো । মহা-সড়কের পাশে পশুর হাট না বসানোর সরকারি নির্দেশনা থাকলেও ঝালকাঠির রাজাপুরের মহা-সড়কের পাশে জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। এতে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহা-সড়কে চলাচল করা যাত্রীদের এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। । হাট চলাকালীন সময়ে থমকে যাচ্ছে মহা-সড়কে চলাচলকারী গাড়ীর চাকা।
এদিকে পশুর হাটে এখনো পুরোদমে বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন হাট কর্তৃপক্ষ। বিকেলে হাটে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেল। একজন বিক্রেতা বললেন “ক্রেতারা গরু দেখে না কেনার মত দাম বলছেন ফলে এবার লোকসানে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে”।
অপরদিকে কোরবানির পশু কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন “এবার রাজাপুরের হাটে ভারতীয় গরু তেমনা না আসায় দেশি গরুর বিক্রেতারা দাম একটু বেশি চাইছেন, গরুর দাম গত বছরের চেয়ে অনেক বেশী মনে হচ্ছে” ।
রাজাপুর বাঘরী হাটে আসা অধিকাংশ গরু দেশি হলেও তা দেখতে বেশ মোটাতাজা । এগুলো রাসায়নিক পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য তোমন কোন ব্যাবস্থা নেই বলে জানালেন রাজাপুর প্রাণি সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা অলোকেশ সমাদ্দার,তবে হাটে ভাল গরু নির্নয়ের জন্য মেডিকেল টিম রযেছে । জাল টাকা ধরার জন্য রিডাবল মেশিন বসানো সহ হাটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কঠোর নিরাপত্তা বলয় সৃস্টি করেছেন রাজাপুর থানা পুলিশ।