ঢাকা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ রুল জারি করেন। শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে আদেশে। ২০১০ সালের ১৪ই মার্চ জেএসসি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ বিষয়ে ওই বছরের ১৫ই জুন পরিপত্র জারি করা হয়। ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ চলতি বছরের ৩১শে আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত গতকাল এ রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রচলন শুরু হয়। পরের বছর মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হয় ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা। ২০১০ সালের ১৫ই জুন জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। প্রাথমিক স্তর অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি বছর থেকে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেও ২৭শে জুন মন্ত্রিসভা তাতে অসম্মতি জানায়। জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করে গত ১৮ই মে তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করে সরকার।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রচলন শুরু হয়। পরের বছর মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হয় ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা। ২০১০ সালের ১৫ই জুন জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। প্রাথমিক স্তর অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি বছর থেকে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেও ২৭শে জুন মন্ত্রিসভা তাতে অসম্মতি জানায়। জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করে গত ১৮ই মে তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করে সরকার।