ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রত্যেকে যার যার এলাকায় উদ্যোগ নিলে খুব দ্রুতই এ দেশকে নিরক্ষরমুক্ত ঘোষণা করা যাবে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার আরও কমাতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিডডে মিল চালু করতেও সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে বা সাধারণ মানুষ, আমাদের যত ছাত্রসংগঠন আছে, সকলের কাছে আমি আহ্বান জানাব যে, প্রত্যেকে যদি উদ্যোগ নেন যেন নিজ নিজ এলাকায় একজনও নিরক্ষর থাকবে না, তাদের অক্ষর জ্ঞান দেব; সকলের উদ্যোগেই কিন্তু আমরা এ দেশকে গড়ে তুলতে পারি। খুব দ্রুত আমরা এ দেশকে নিরক্ষরমুক্ত ঘোষণা দিতে পারব। সারা বাংলাদেশে আমাদের জন প্রতিনিধিরা আছেন, বিভিন্ন সংগঠন আছে, পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা যারা রয়েছেন এবং অন্যান্য শ্রেণি-পেশায় যারা কাজ করেন; প্রত্যেকে যদি উদ্যোগ নেন যে আমার এলাকায় কোনো মানুষ নিরক্ষর থাকবে না। স্ব স্ব উদ্যোগ নিলেই দেখবেন আমরা খুব দ্রুত আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। শেখ হাসিনা জানান, তার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পাঁচ বছরে শিক্ষার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৫ শতাংশ হয়। সেসময় সাক্ষরতার হার বাড়াতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগকে সম্পৃক্ত করার কথাও তুলে ধরেন তিনি। বিভিন্ন উপ-আনুষ্ঠানিক কর্মসূচিসহ সরকারের নানা উদ্যোগও তুলে ধরেন তিনি। সাক্ষরতার হার বাড়াতে নানা স্তরে বৃত্তি-উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা ও বিনামূল্যে বই বিতরণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাত বছরে বিনামূল্যে ১৯৩ কোটি বই বিতরণ করেছি আমরা। ২০২১ সালের মধ্যে শিক্ষা, অর্থনীতি, প্রযুক্তি সব দিক থেকেই দেশকে উন্নত করার ঘোষিত রূপকল্পের কথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা করা প্রয়োজন। শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েদের যথাযথ নীতি ও মূল্যবোধের চর্চা শিখিয়ে প্রত্যেকটা শিশুকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে আপনারা গড়ে তুলবেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।