যশোর; চৌগাছার পাশাপোল ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম হত্যার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। গতকাল সকালে উপজেলা সদরে তার অনুসারীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা উপজেলার সকল রুটে যান চলাচল বন্ধ করার পাশাপাশি সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। কোনো ঘোষণা ছাড়াই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক গৃহবধূসহ তিনজনকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ আটক করেছে। তবে দলীয় কোন্দলেই তাকে অকালে চলে যেতে হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনে করছেন।
সূত্র জানায়, গত ১লা সেপ্টেম্বর যশোরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন পাশাপোল ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম। ওই দিন সকালে আবুল কাশেম চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ওই রাতেই তিনি খুন হন। পর দিন সকালে যশোর শহরের ষষ্টিতলা পাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত শনিবার এ খবর প্রকাশের পর গোটা চৌগাছায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল সকালে উপজেলা সদরে নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। মুহূর্তের মধ্যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। চৌগাছার সকল রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অঘোষিতভাবে হরতালের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের নেতা কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
এদিকে, নিহত চেয়ারম্যানের বড় ছেলে শাহিন রেজা জানান, আমার পিতা একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। রাজনীতির কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে, আমি এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম হাবিবুর রহমান জানান, এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। তার প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছেন। মৃত্যুর একদিনের মাথায় একজন ব্যক্তিকে এত তড়িঘড়ি করে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে দাফন করায় তিনি অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাস্টার সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এতে কোনো সন্দেহ নেই।