পদে থাকার কর্তৃত্ব জানতে দুই মন্ত্রীকে ২৪ ঘন্টার নোটিশ

Slider বাংলার মুখোমুখি

file

ঢাকা:  সরকারের দুই মন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং আ ক ম মোজাম্মেল হকের আদালত অবমাননা-সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পর তাঁদের আইন লঙ্ঘন ও শপথভঙ্গের বিষয়টি নিয়ে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে।  সরকার কোন মন্তব্যও করছে না। তবে এক আইনজীবী   দুই মন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা জানতে চেয়ে ২৪ ঘন্টার সময় দিয়ে এক নোটিশ পাঠিয়েছেন। জবাব না দিলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক কোন কর্তৃত্ববলে পদে আছেন তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। গতকাল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ওই দুই মন্ত্রীর কার্যালয়ের ঠিকানা বরাবর ওই নোটিশ পাঠানোর কথা জানিয়েছেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
 ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, দুই মন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন বলে আপিল বিভাগের রায়ে এসেছে। শপথ নেওয়ার মাধ্যমে একজন মন্ত্রী পদে থাকেন। শপথ না থাকলে তাঁর মন্ত্রিত্ব থাকে না। তাই ওই রায় আসার পর তাঁরা আর পদে থাকতে পারেন না। তিনি বলেন, জবাব দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।

গতকাল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি জেনেশুনে সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারেন না, করেননি। তবে রায়ের পুরো কাগজ হাতে পাওয়ার পর আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের এক রায়ে বলা হয়েছে, ‘তাঁরা (দুই মন্ত্রী) আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানে তাঁদের শপথ ভঙ্গ করেছেন।’

এ বিষয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক আলোচনা সভায় বলেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘনের ব্যাপারে মহামান্য আদালত যে কথা বলেছেন, আমি জেনেশুনে সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না, করি নাই। কারণ এই সংবিধান মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের আখরে লেখা। বঙ্গবন্ধু নিজেই সংবিধান রচনা করে গেছেন। সংবিধান কীভাবে লঙ্ঘন করেছি—রায়ের পুরো কাগজ পাওয়ার পরে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমি আমার কথা বলব। আজকে এই ব্যাপারে কথা বলতে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘তবে এইটুকু বলতে চাই, হ্যাঁ সংবিধান লঙ্ঘন করেছি, পাকিস্তানের সংবিধান লঙ্ঘন করেছি। শুধু লঙ্ঘন করিনি, সেটা লাথি মেরে বঙ্গোপসাগরে নয়, সিন্ধু নদের ওপারে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ফেলে দিয়েছি।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *