ঢাকা: আদালত নিয়ে মন্তব্য করে অবমাননার দায়ে দণ্ডিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘সংবিধান রক্ষার শপথ ভেঙেছেন’ বলে আপিল বিভাগ রায় দিলেও তিনি ‘জেনেশুনে’ তা করেননি। আমি বলতে চাই, সংবিধান যেটা লঙ্ঘন করেছি সেটা পাকিস্তানের সংবিধান। যে সংবিধান আমি লাথি মেরে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে চাই।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হওয়ার দুদিনের মাথায় শনিবার ঢাকার এক আলোচনা সভায় মন্ত্রীর এই প্রতিক্রিয়া আসে।
মোজাম্মেল হক বলেন, সংবিধান লঙ্ঘনের ব্যাপারে মহামান্য আদালত যে কথা বলেছেন, আমি জেনেশুনে সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না, করিনি। কারণ, এই সংবিধান মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে লেখা সংবিধান, যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানকে জিয়া, এরশাদ ও খালেদা ৩০ বছর পদদলিত করেছিলেন। আমরা এই সংবিধানকে সমুন্নত রেখেছি, রক্ষা করেছি। যে কোনো মূল্যে এই সংবিধানকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে যাবো। আদালতের রায়ের বিষয়ে এখন আর কোনো মন্তব?্য করতে চান না জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, রায়ের কপি হাতে পেয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর কথা বলবো। ‘জঙ্গি সন্ত্রাস দমনে প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ নামের একটি সংগঠন। মোজাম্মেল হক বলেন, নিড়ানি দিয়ে যেমন আগাছা পরিষ্কার করা হয়, তেমনি বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের চিরদিনের মতো বিতাড়িত করতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধীরা বিভিন্ন নামে ও বিভিন্নভাবে জঙ্গিবাদ লালন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ থাকলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন হবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে দেশ থেকে জঙ্গিদের উচ্ছেদ করা হবে। সংগঠনের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য হোসনে আরা বেগম বাবলী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন প্রমুখ।