স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস : বিএনপি বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিতি গাজীপুরের নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ হারুনর রশিদ যোগদানের পর ছাত্রলীগের সঙ্গে বিরোধ লেগে যায়। নতুন পুলিশ সুপার ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের আধিপত্যকে সংকুচিত করায় সরকার ও দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২৪ আগষ্ট হারুনর রশিদ গাজীপুরে পুলিশ সুপার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২৫ আগষ্ট বেলা ১২টায় সাংবাকিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নবাগত পুলিশ সুপার।
সূত্র জানায়, পুলিশ সুপার যোগদানের পর কালিয়াকৈরে গ্রেফতার হন গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদ। কালিয়াকৈরের ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সেলিম মিয়া নামে এক যুবলীগ কর্মী। দ্রুত বিচার, হত্যা মামলা ও হত্যার চেষ্টা মামলা সহ একাধিক মামলায় মাসুদ এরশাদ দফায় দফায় রিমান্ডে যায়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মাসুদ এরশাদের মুক্তির দাবিতে ছাত্রলীগ গাজীপুর শহরে একাধিকবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে।
এদিকে ২৭ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মহানগরের ইটাহাটা এলাকায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় এক নেতার জমি দখল হয়। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ জবর দখল কাজে সহযোগিতা করেছে।
এই ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রিয় সদস্য মোঃ রকিব সরকার জয়দেবপুর থানায় ৪জনের নাম উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরীতে তিনি বলেন, ১৭.৩৪ শতাংশ জমির ক্রয় সূত্রে তিনি মালিক হয়ে ভোগদখলে রয়েছেন। সম্প্রতি প্রতিপক্ষ স্বশস্ত্র অবস্থায় নালিশি জমির চারিদিকে ঘোরাফেরা ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করছেন। এই অবস্থায় ২৪সেপ্টেম্বর গাজীপুরের বিজ্ঞ আদালতে জয়গার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য একটি আবেদন করেন। আদালত প্রতিপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারী করে ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার শুনানীর দিন ধার্য করেন।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল থেকে নালিশি জায়গায় বেশ কিছুু অজ্ঞাতনামা লোক প্রবেশ করে নির্মান কাজ শুরু করেন। এসময় হঠাৎ করে কয়েক গাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জবরদখলকারীদের সহযোগিতা করার জন্য অবস্থান করে। ফলে পুলিশি নিরাপত্তায় জমি দখলের কাজ চলে।
রোববার বিকাল ৪টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় ফাঁকে ফাঁকে পুলিশি প্রহড়ায় নালিশি জমিতে জবর দখলের কাজ চলতে ছিলো।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার সেকেন্ড অফিসার(এসআই) মাহমুদুল হাসান বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সত্য নয়। নির্মান কাজের বিষয়ে তাদের কাছে নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছিলো। তাই পুলিশ গিয়েছে।
মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, কোন দেওয়ানী মামলা হয়েছে কিনা তা বলতে পারেননি তিনি।
তবে ভূক্তভোগী রকিব সরকার কর্তৃক শনিবার সকালে দায়ের করা জিডির (জিডি নং ২১৫১ তাং ২৭/০৯/১৪) ব্যাপারে মাহমুদুল হাসান কিছু বলতে পারেননি। ওই জিডিতে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ থাকলেও জিডির তদন্ত কর্মকর্তা(এসআই) হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে যাননি।
আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল দলীয় একটি সূত্র বলছে, আওয়ামীলীগের স্থানীয় এমপি বা মন্ত্রীর কথা আমলে না নিয়েই পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষমতাসীন দলের ক্ষতির মাত্রা বাড়ছে।