ভারতের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আজ জনগণের কাছে নিন্দিত এবং অগণতান্ত্রিক শক্তিকে টিকিয়ে রাখার জন্য যারা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে, তাদের সঙ্গে আমাদের ভালোভাবে বোঝাপড়া দরকার। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজ গণতন্ত্রহীনতা, সার্বভৌমত্বের হুমকি, গুম, খুন, মানুষের কথা বলার অধিকার থাকে না, এর একটিমাত্র কারণ, একাত্তরের ঋণ পরিশোধ করার জন্য আমাদের নতজানু মনোভাব।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিহার বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ার পর নিতীশ সরকার বললেন গেট খুলে দিন, নইলে ফারাক্কা ভেঙে দাও। আর সঙ্গে সঙ্গে ১০০ গেট খুলে দিয়ে আমাদের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত করে দিল। নিতীশ সরকার যখন ফারাক্কা ভাঙার কথা বলেন, তখন তিনি ভারতবিরোধী হন না। আর আমি যখন ফারাক্কার বিরুদ্ধে বলি, প্রতিবাদ করি, তখন আমি ভারতবিরোধী; কী কারণ? আজকে প্রতিবেশী দেশকেই জিজ্ঞেস করতে হবে।’
এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ বলেন, আজ সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশ ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ সংকট উত্তরণ করতে হলে সবার অংশগ্রহণে মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রয়োজন।
এলডিপির ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির প্রতিনিধি সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনডিপির সভাপতি গোলাম মোর্ত্তুজা, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ।
সম্মেলনে ইকবাল হোসেন তালুকদারকে আহ্বায়ক ও খাজা আতিকুর রহমানকে সদস্যসচিব করে ৩১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।