নোয়াখালী; হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা এলাকার ১৭ জন জেলে ও মাঝিমাল্লা নিয়ে বঙ্গোসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে ৭ জনের লাশ ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথর প্রতীমা থানার গোবিন্দপুর আবাত এলাকায় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন বোট এফ বি ২৪৭০ মালিক হাজী আবদুল মোতারেব।
তিনি জানান, গত ১৪ আগস্ট ১৭ জন জেলে ও মাঝিমাল্লা নিয়ে হাতিয়ার জাহাজমারা ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে তারা আর ফিরে আসেনি। মোবাইল ফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান না পেয়ে গত ২১শে আগস্ট হাতিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। মঙ্গলবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথর প্রতীমা থানা থেকে থানার অফিসার মইনুল হোসেন তাকে মোবাইলে জানায়, স্থানীয় লোকজন ১টি বোটসহ ৭ জেলের লাশ উদ্ধার করে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশগুলো উদ্ধার করে পাথর প্রতীমা থানায় নিয়ে আসে। তাদের দেহতল্লাশি করে বোট মালিকের মোবাইল নাম্বার পেয়ে তাকে বিষয়টি অবহিত করে। এখনো ১০ জেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে ভারতের দক্ষিণ পশ্চিম পরগনার পাথর প্রতীমা থানার অফিসার মঈনুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভারতের জেলেরা গোবিন্দপুর আবাত এলাকায় নদীতে বোট ভাসতে দেখে টেনে তীরে আনলে বোটের ভিতর গলিত ৭টি মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয়। এ সময় তাদের পরনের জামা-কাপড়ের ভিতর কয়েকটি মোবাইল নাম্বার পাওয়া যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম ফারুক জানান, তাকে জাহাজমারা ইউপি চেয়ারম্যান ও বোট মালিক হাজী আবদুল মোতালেব বিষয়টি জানিয়েছেন, এর বেশি তিনি কিছুই জানেন না। নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছেন হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ এলাকার জাফর উল্যাহ (৪৫), রাশেদ (২৫), তাজুল ইসলাম (২৭), দিদার (৩০), মিরাজ (৩৫), স্বপন (২৬), ফরহাদ (২৮), জহির (৩২), মনির (২৮), মিরাজ (৫০), মেহেরাজ (৩৬), সোহেল (৩০), সালাউদ্দিন (৩৫), রোমান (৪৫) ও কেরিং চর এলাকার সিরাজ (৩২), জাহাজমারার নিশান (২২) ও এনায়েত (২৭)।