যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির নারী কল্যাণ মন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বুধবার রাতে কেজরিওয়াল টুইট করে জানান যে তাঁর কাছে একটি সি ডি এসেছে, যেখানে নারী কল্যাণ মন্ত্রী সন্দীপ কুমারকে দুই নারীর সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখা গেছে বলে তাঁকে জানানো হয়েছে। ওই সি ডি পাওয়ার আধঘণ্টার মধ্যেই সন্দীপ কুমারকে মন্ত্রীসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আম আদমি পার্টির সরকার। সন্দীপ কুমার নারী কল্যাণের সঙ্গে সঙ্গেই শিশু কল্যাণ দপ্তরের দায়িত্বেও ছিলেন।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া জানান, “আম আদমি পার্টির মূল নীতিই হল দুর্নীতি, কোনও ধরণের অপরাধ বা নৈতিক চরিত্রে কালি লাগে, এ রকম কোনও ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। এর আগেও এক মন্ত্রী এবং পাঞ্জাবের এক নেতার ঘুষ নেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছিল, দুজনকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এইসব বিষয়ে আম আদমি পার্টি ‘জিরো টলারেন্ট’।
মন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি। বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলছেন, “যে আম আদমি পার্টি রাজনীতিতে শুচিতা নিয়ে দম্ভ করে, তারাই আজ দুর্নীতি, অন্তর্কলহ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত।”
দিল্লির রাস্তা থেকে ভিখারিদের সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে গত মাসে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন মন্ত্রীসভা থেকে অপসারিত এই সন্দীপ কুমার। তাঁকে নিয়ে তিনজন মন্ত্রীকে সরিয়ে দিল দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল নেতৃত্বাধীন সরকার। এর আগে এক মন্ত্রীকে ঘুষ নেওয়ার দায়ে, অন্যজনকে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সার্টিফিকেট দাখিল করার দায়ে সরতে হয়েছে।
দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল এক মন্ত্রীর যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত হওয়ার খবর পাওয়ার পরে টুইটে মন্তব্য করেছেন, “সন্দীপ কুমার যা করেছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। এরকম লোকের মন্ত্রী তো হওয়ারই কথা নয়, নারী কল্যাণ মন্ত্রী তো অনেক দূরের ব্যাপার।”
অভিযুক্ত সন্দীপ কুমারের কোনও বক্তব্য অবশ্য এখনও পাওয়া যায় নি। ঘটনাচক্রে, নারীদের তিনি কতটা সম্মান করেন, সেটা বোঝাতে ১৯ মাস আগে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে সন্দীপ কুমার প্রকাশ্যে বলেছিলেন “আমি প্রতিদিন সকালে আমার স্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি।”
– See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/149959#sthash.S0mtwK6v.dpuf