প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, তিনিসহ কয়েকজন কর্মকর্তা আজ বেলা ১১টার দিকে মীর কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চান। এ সময় তিনি ভাবনাচিন্তার জন্য আরও সময় চান।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না—এ বিষয়ে গতকাল বুধবারও মীর কাসেমের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কারা কর্মকর্তারা। এদিনও তিনি কোনো মতামত না দিয়ে চিন্তা করার জন্য সময় চান।
গতকাল বিকেলে কারা অধিদপ্তরের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় চেয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে যৌক্তিক সময় দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বিকেলে মীর কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তাঁর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ছেলেকে ছাড়া মীর কাসেম প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত দেবেন না।
পরিবারের অভিযোগ, গত ৯ আগস্ট সাদাপোশাকধারী লোকজন মীর কাসেমের ছেলে ব্যারিস্টার আহম্মেদ বিন কাসেমকে মিরপুরের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। আহম্মেদ বিন কাসেম তাঁর বাবার মামলার আইনজীবীও।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম দেশের সর্বোচ্চ আদালতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন।
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সেই আবেদন খারিজ করে দিলে মীর কাসেমের বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়।
নিয়ম অনুযায়ী এখন মীর কাসেম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে অথবা তা নাকচ হলে যেকোনো সময় তাঁর ফাঁসি কার্যকর হতে পারে।