ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা করবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত মীর কাসেম আলী নিজেই নিবেন। আমি একজন আইনজীবী। এখানে আইনি লড়াই করছি। আজ মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগ মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদ- বহাল রাখার রায় ঘোষণার পর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি সংবাদিকদের এসব কথা বলেন। খন্দকার মাহবুব বলেন, আপিল বিভাগ মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে সাজা দিয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর বিচার করবে। তিনি বলেন, কিশোর জসিম হত্যাকা-ে জড়িত থাকার দায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জসিম হত্যায় তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে কোনো প্রমাণ নেই। সাক্ষীরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাতে মীর কাসেম আলী সরাসরি জড়িত ছিলেন, এ ধরনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। খন্দকার মাহবুব প্রশ্ন রেখে বলেন, মীর কাসেম একজন সমাজসেবক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন হাসপাতাল, ব্যাংক, গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তী সময়ে যদি দেখা যায়, এ সাজা সঠিক হয়নি, তাহলে কী হবে? সাক্ষীরা জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালত অসহায়ভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ রায় দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ আইন তৈরি করা হয়েছিল পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য। কিন্তু এ আইনে বাংলাদেশের নাগরিকদের বিচার করা হচ্ছে। এসময় তিনি বলেন, আদালত চত্বরে বিভিন্ন লোক শ্লোগান ও ফাঁসির দড়ি নিয়ে হাজির হয়েছে। মিষ্টি বিতরণ করা হচ্ছে। এটা অপমানজনক কি না, তা দেখার ভার সাংবাদিকদের। আমি মনে করি এটা দুঃখজনক। ভবিষ্যতে বাতাস যদি পাল্টে যায়, এ ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি হতে পারে।