ঢাকা; মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ভয়াবহ সিরিজ হামলার পেছনে জড়িত জঙ্গিদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের যোগসূত্র থাকার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। কেরি বলেন, ‘আমাদের উপলব্ধি হলো, সন্ত্রাসীদের পরাজিত করতে আমাদেরকে অবশ্যই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত করতে হবে, প্রতারণা নয়।’ প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর লেভার অ্যাকটিভিস্ট ও ইউনিয়ন নেতাদের এ কথা বলেন কেরি। কেরি বলেন, সহিংস জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে ও এর জবাব দিতে এখনও সব থেকে কার্যকরী ও বিশ্বাসযোগ্য প্লাটফর্ম হলো গণতন্ত্র।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে আইএস বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক জিহাদি নেটওয়ার্কের সক্রিয় থাকার বিষয়টি জোর দিয়ে অস্বীকার করে আসছে দেশটির সরকার। গত মাসের ঢাকা ক্যাফে জিম্মিদশা এবং লিবারেল অ্যাক্টিভিস্ট ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নানা হত্যাকাণ্ডের জন্য তারা স্থানীয় জঙ্গিদের দায়ী করেছে।
তবে, বাংলাদেশে একদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর জন কেরি বলেন, বাংলাদেশে সক্রিয় জঙ্গিদের সঙ্গে সিরিয়া ও ইরাকের জঙ্গিদের যোগসূত্র থাকার বিষয়টি নিয়ে কোনো ‘বিতর্ক’ (আর্গুমেন্ট) হয়নি। কেরি বলেন, ‘ইরাক ও সিরিয়ার আইসিলের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ৮টি ভিন্ন গোষ্ঠীর যোগাযোগ থাকার বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। আর এসব গোষ্ঠীর মধ্যে একটি হলো দক্ষিণ এশিয়ায়। এখানকার জঙ্গিদের সঙ্গে কিছুটা হলেও তাদের যোগসূত্র রয়েছে। আলোচনায় আমরা এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছি। এ নিয়ে কোনো আর্গুমেন্ট হয় নি।’
বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের যে ধরনের ঝুঁকির মুখোমুখি তা নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের প্রশাসনের অস্বীকারের প্রবণতা আছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসিনার সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন জন কেরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ নিয়ে উদাসীন বলে আমি বিশ্বাস করি না। আমি এটা বিশ্বাস করি না।
কেরি আরো বলেছেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পেছনে জোরালো অবস্থান থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের। নিজ নিজ দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এও বলেছেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গণতন্ত্র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।