ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউর রায়ে তার ফাঁসি বহাল রেখেছে আপলি বিভাগ।
একটু আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে গঠিত ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
বেঞ্চের অপর চার সদস্য হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
আইনি লড়াইয়ের চূড়ান্ত ধাপ রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ায় শেষ সুযোগ হিসেবে প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন মীর কাসেম আলী।
রোববার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মঙ্গলবার রিভিউর রায়ের দিন ধার্য করে আপিল বিভাগ। গত ৮ই মার্চ আপিল বিভাগ মীর কাসেম আলীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত রায় দেন। ৬ই জুন ২৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে আপিল বিভাগ। পরে রায়ের কপি ওই দিন বিকালে বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গেলে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ৭ই জুন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মীর কাসেমকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শুনানো হয়। ১৯শে জুন রায়ের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের মাধ্যমে রিভিউ আবেদন করেন মীর কাসেম। ৮৬ পৃষ্ঠার আবেদনে দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ১৪টি গ্রাউন্ড (যুক্তি) উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে ২০১৪ সালের ২রা নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। পরে ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন মীর কাসেম আলী।