ঢাকা: ঢাকা জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকা জেলা পুলিশকে দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। আশুলিয়া, ধামরাই ও সাভার নিয়ে ঢাকা জেলা উত্তর। আর কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার নিয়ে ঢাকা জেলা দক্ষিণ। প্রত্যেক বিভাগে একজন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দায়িত্ব পালন করবেন। তবে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ভাগ হবে না।
আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান পুরান ঢাকায় তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব তথ্য জানান। সদ্য কাজে যোগ দেওয়ার পর তিনি আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ঢাকা জেলা পুলিশের উত্তর বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন আশরাফুল আজিম এবং দক্ষিণের দায়িত্বে থাকবেন মনিরুল ইসলাম। গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান এবং বিশেষ শাখায় (এসবি) দায়িত্ব পালন করবেন সাইদুর রহমান। জেলা পুলিশ উত্তরের কার্যালয় থাকবে কেরানীগঞ্জে এবং দক্ষিণের কার্যালয় থাকবে সাভারে। নিজ নিজ এলাকার কাছে হওয়ায় তাঁরা সহজেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে পারবেন। এ ছাড়া জেলা পুলিশের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দূর করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা জেলায় পাঁচ বছর ধরে একই কর্মস্থলে আছেন, তাঁদের মধ্যে ২৬০ জন কনস্টেবলকে এবং এসআই পদমর্যাদার ৬০ জনকে বদলি করা হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, সাভার ও কেরানীগঞ্জ থানায় গতকাল রোববার ছয়টি মামলা হয়েছে, তার মধ্যে তিনটিই মাদক উদ্ধার–সংক্রান্ত মামলা। পুলিশ এসব এলাকা থেকে ৩৫৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১৪১টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে। মাদক নির্মূলে পুলিশের জোরালো অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান জিরো টলারেন্স। এসব এলাকায় মাদক শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, সম্প্রতি পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড থেকে কেরানীগঞ্জে কারাগার স্থানান্তর করা হয়েছে। নতুন কারাগার থেকে বন্দীদের বিভিন্ন জেলা আদালতে নিরাপদে হাজির করার জন্য কারাগারের পাশে ১০০ পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দীদের আনা-নেওয়ার জন্য পুলিশ যে ২৪৭টি যানবাহনের প্রস্তাব করেছিল, তা বিবেচনাধীন আছে।
তিনি জানান, পুলিশ এখন বন্দীদের নিরাপদে আনা-নেওয়ার জন্য দুটি প্রিজন ভ্যান ও একটি পিকআপ ব্যবহার করছে।
পুলিশ সুপার বলেন, সাভার ও নবীনগরে রাস্তায় যানজট দূর করতে নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ড ছাড়া যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো বন্ধ করতে কাজ করছে পুলিশ। যেসব বাস এ নিয়ম মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন বন্ধ করে দেওয়া হবে।