প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ–সংক্রান্ত ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি জানান, নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে জেলা পরিষদ গঠন করা হবে। জেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য থাকবেন।
সচিব আরও জানান, স্থানীয় পর্যায়ের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সব প্রতিনিধির সমন্বয়ে ইলেকটোরাল কলেজ গঠিত হবে। এই কলেজই ২১ সদস্যের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচন পরিচালনা করবে। নির্বাচনী আচরণবিধি কেউ লঙ্ঘন করলে ছয় মাস জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে। আগে এই আইনে সর্বোচ্চ সাত বছর জেল ছিল।
মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, খুব শিগগির এই সংশোধনী অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে পরিষদের সদস্য বা সরকার–মনোনীত যে–কেউ এ দায়িত্ব পালন করতে পারবে। একই সঙ্গে ফৌজদারি মামলায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বা অন্য সদস্যদের কেউ গ্রেপ্তার হলে অথবা অভিযোগপত্র দেওয়া হলে তাঁকে বরখাস্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।