‘পদ্মার পানি বিপদসীমা ছাড়াতে পারে’

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা

28923_bdf

 

ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে বিপদজনক গতিতে পানি বাড়ছে। কুষ্টিয়ায় তলিয়ে গেছে ৩০ টি গ্রাম। প্রতি ৩ ঘন্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড আশঙ্কা করছে পানি বৃদ্ধির এই হার অব্যহত থাকলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী রিপন কর্মকর মানবজমিনকে বলেন, বিহার ও মধ্য প্রদেশে বন্যার কারণে এখন বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে পানির চাপ বেড়েছে। এই সময়টা পদ্মা নদীতে পানির চাপ থাকার সময়। গত কয়েকদিন ধরে ভারতের দুটি প্রদেশ, নেপাল ও চীনে বন্যা হয়েছে। সেখান থেকে পানি নেমে আসছে। যে কারণে পদ্মায় পানি বেড়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৬ থেকে ৯ টা ৩ ঘন্টা সময়ের মধ্যে ২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধি অব্যহত থাকলে আজ না হলেও শনিবারের মধ্যে পদ্মার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মীর মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, গঙ্গার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে ভারত ফারাক্কা বাঁধের ১০৬টি গেটের সবগুলোই খুলে দিয়েছে। এ কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানির উচ্চতা প্রতিদিন প্রায় ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিমালয় থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদীর প্রধান শাখা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, সেখান থেকে নদীটির নাম হয়েছে পদ্মা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে পদ্মানদীতে পানির বিপদসীমা হচ্ছে ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। সেখানে আজ দুপুর ১২টার দিকে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৪ দশমিক ০৬ সেন্টিমিটার। পানি বিপৎসীমা থেকে মাত্র দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার দূরে। ১৮ আগস্ট পদ্মায় পানির মাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। ১৯ আগস্ট ছিল ১৩ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। ২৫ আগস্ট ছিল ১৩ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার। পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদেও অব্যাহতভাবে পানি বাড়ছে। যে কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ড পদ্মা নদী ও গড়াই নদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও বাঁধগুলোতে নজর রাখছে।
এদিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের কলমিরচর গ্রামে গতকাল রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর ভাঙনে ১৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এ নিয়ে গত ২০ দিনের ভাঙনে গ্রামটির প্রায় ৬০০ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়েছে।এলাকা পরিদর্শন শেষে ভাঙন কবলিত এলাকার গ্রামবাসিকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হোসাইন খান। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের সহায়তা ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *