সারাদেশে নৌশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের চতুর্থ দিন আজ। তবে রাজধানীর সদরঘাট থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রয়েছে। তেমন প্রভাব পড়েনি এই লঞ্চ টার্মিনালে। আজ শুক্রবার সকালেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৩টি লঞ্চ সদরঘাটের বিভিন্ন জেটিতে ভিড়েছে। ছেড়ে গেছে চারটি। ধর্মঘটের প্রথম দিন মঙ্গলবার সকালে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও দুপুরের পর থেকে সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। এরপর প্রতিদিনই সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সদরঘাট থেকে ৬৩টি লঞ্চ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। মাসিক ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা মজুরি, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পুননির্ধারণ, নৌপথে সন্ত্রাসী-ডাকাতি -চাঁদাবাজি বন্ধ ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে দেশের সবগুলো নদীবন্দরে ধর্মঘটের ডাক দেয় নৌযান শ্রমিকরা। ধর্মঘটে সৃষ্ট অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে সরকারের প্রতিনিধিরা বৈঠক করলেও কোনো সমাধান আসেনি। তবে ধর্মঘটের মধ্যেও সারাদেশের লঞ্চ যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।