ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ভগবান শ্রী কৃষ্ণ’র শুভ জন্মাষ্টমী। জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন এ দিনে উপাবাসে সপ্ত জন্মকৃত পাপ বিনষ্ট হয়। আর তাই আজ তারা উপবাস করে লীলা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়, পূজার্চ্চনা, আরাধানা, জন্মাষ্টমীর মিছিল, শোভাযাত্রাসহ দিনব্যাপি নানা আয়োজন। এ উপলক্ষে সারাদেশে আনন্দের বন্যা বইয়ে যায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে সকালে পুজা, আরাধনা ও গীতাপাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। রাতে অনুষ্ঠিত হয় শ্রীকৃষ্ণ পূজা।
বিকাল তিনটায় রাজধানীর পলাশী প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী জন্মাষ্টমী মিছিল ও শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি হাইকোর্ট হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবন, গোলাপশাহ মাজার, গুলিস্তান হয়ে নবাবপুর দিয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়। পলাশীর মোড়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ অংশ নেন। এ সময় অনেকেই বিচিত্র সাজে খোল, করতাল, ঢাক বাজিয়ে নেচে গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দুইদিনব্যাপি কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামীকাল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিকে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হাটখোলা রোড টিকাটুলির শ্রী শ্রী প্রভূ জগদ্বন্ধু মহাপ্রকাশ মঠ-এ সকালে শুভ শঙ্খ ধ্বনি ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে চারদিন ব্যাপি জন্মাষ্টমী উৎসব শুরু হয়। ভোরে চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের শংকর মঠ ও মন্দিরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রী শ্রী গীতাযজ্ঞের অয়োজন করা হয়।
ধর্মীয় সম্প্রীতি জোরদার করার আহবান জানালেন প্রেসিডেন্ট
দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিদ্যমান ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধন আরো দৃঢ় করতে সকল ধর্মের লোকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী পালন উপলক্ষে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট আয়োজিত এক সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। একতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি দেশের মানুষের দৃঢ় আস্থা রয়েছে। দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিদ্যমান ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্ব সম্পর্কের মিলিত প্রচেষ্টা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, শ্রীকৃষ্ণের প্রধান আদর্শ ছিল সমাজে মানুষের মধ্যে সংঘাত অবসানে সত্যিকার ভালোবাসা ও সম্প্রীতি গড়ে তোলা। শ্রীকৃষ্ণ জীবনব্যাপী মানবতার বন্ধন মুক্তির পথ খুঁজেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, সিপিডি’র বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, গায়ক সুবীর নন্দী, বিশিষ্ট চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন, অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ ছাড়া হিন্দু ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গ, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা সংবর্ধনায় অংশ নেন।
বিকাল তিনটায় রাজধানীর পলাশী প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী জন্মাষ্টমী মিছিল ও শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি হাইকোর্ট হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবন, গোলাপশাহ মাজার, গুলিস্তান হয়ে নবাবপুর দিয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়। পলাশীর মোড়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ অংশ নেন। এ সময় অনেকেই বিচিত্র সাজে খোল, করতাল, ঢাক বাজিয়ে নেচে গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দুইদিনব্যাপি কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামীকাল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিকে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হাটখোলা রোড টিকাটুলির শ্রী শ্রী প্রভূ জগদ্বন্ধু মহাপ্রকাশ মঠ-এ সকালে শুভ শঙ্খ ধ্বনি ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে চারদিন ব্যাপি জন্মাষ্টমী উৎসব শুরু হয়। ভোরে চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের শংকর মঠ ও মন্দিরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রী শ্রী গীতাযজ্ঞের অয়োজন করা হয়।
ধর্মীয় সম্প্রীতি জোরদার করার আহবান জানালেন প্রেসিডেন্ট
দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিদ্যমান ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধন আরো দৃঢ় করতে সকল ধর্মের লোকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী পালন উপলক্ষে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট আয়োজিত এক সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। একতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি দেশের মানুষের দৃঢ় আস্থা রয়েছে। দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিদ্যমান ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্ব সম্পর্কের মিলিত প্রচেষ্টা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, শ্রীকৃষ্ণের প্রধান আদর্শ ছিল সমাজে মানুষের মধ্যে সংঘাত অবসানে সত্যিকার ভালোবাসা ও সম্প্রীতি গড়ে তোলা। শ্রীকৃষ্ণ জীবনব্যাপী মানবতার বন্ধন মুক্তির পথ খুঁজেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, সিপিডি’র বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, গায়ক সুবীর নন্দী, বিশিষ্ট চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন, অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ ছাড়া হিন্দু ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গ, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা সংবর্ধনায় অংশ নেন।