কাবুলে আমেরিকান ইউনিভার্সিটিতে হামলা, নিহত ১২

Slider টপ নিউজ সারাবিশ্ব

28780_kabuluniversityattack

 

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত আমেরিকান ইউনিভার্সিটিতে হামলা চালিয়েছে অস্ত্রধারীরা। এতে সাত ছাত্র ও এক নিরাপত্তা প্রহরীসহ নিহত হয়েছেন ১২ জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪ জন। এ খবর পেয়ে আফগানিস্তানের বিশেষ বাহিনী সেখানে অভিযান চালালে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যায় ওই ক্যাম্পসে। লন্ডনের অনলাইন ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, বৃধবার সন্ধ্যায় ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস চলাকালে অস্ত্রধারীরা সেখানে হামলা চালায়। তারা বেশ কিছু বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। জরুরি সহায়তার ডাক পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় বিশেষ বাহিনী। এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, বেশ কয়েকজন এ হামলা চালিয়েছে। বেশ কিছু বিস্ফোরণ ও গুলি বিনিময়ের শব্দ পাওয়া গেছে। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে অবস্থান করছিলেন বিদেশী কয়েকজন প্রফেসরও। তাদের সঙ্গে ছিলেন কয়েক শত শিক্ষার্থী। স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৭টায় এ হামলা শুরু হয়। তখন বিকট একটি বিস্ফোরণে শব্দ পাওয়া যায়। এরপর পরই অস্ত্রধারীরা ভবনের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। তারা হত্যা করে একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে। এক শিক্ষার্থী বলেছেন, আমরা তখন বন্ধুদের সঙ্গে ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসছিলাম। এমন সময় ওই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আমি মেঝেতে পড়ে যাই। এক পর্যায়ে উঠে দাঁড়াই। চারদিকে তখন ধুলোবালি আর ময়লায় অন্ধকার। আমরা পিছন দিকে দৌড়াতে শুরু করে। দেয়াল বেয়ে উপরে উঠে লাফিয়ে পড়ি বাইরে। দোতলা থেকে লাফিয়ে বাইরে পড়ে অনেকে আহত হয়েছে। এ খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হয় এম্বুলেন্স। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ হামলায় কমপক্ষে একজন ছাত্র নিহত হয়েছেন। পুলিশের মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকী বলেছেন, তাদের বিশ্বাস এ হামলা চালিয়েছে একজন অস্ত্রধারীই। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একজন আমেরিকান ও একজন অস্ট্রেলিয়ান প্রফেসরকে অপহরণ করা হয়েছে। এর পর পরই এ হামলা হলো। ওই দু’প্রফেসর এখন কোথায় আছেন তা জানা যায় নি। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে ২০০৬ সালে। এখানে পড়াশোনা করছেন এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। এখানে রয়েছে পূর্ণ আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষাক্রম। আর পাঠদান করা হয় ইংরেজিতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *