ঢাকা; বাংলাদেশে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিলটি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক সংগঠন দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
২৪শে আগস্ট এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে ‘প্রপোজড সাইবার-সিকিউরিটি বিল থ্রেটেনস মিডিয়া ফ্রিডম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এমন আহ্বান জানানো হয়। এতে আশঙ্কা করা হয়, প্রস্তাবিত ওই বিলটি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের জন্য হুমকি। এতে বলা হয়, প্রস্তাবিত ওই বিলটি অনুযায়ী যদি দেখা যায় বাংলাদেশের কোন অনলাইন মিডিয়া রাষ্ট্রবিরোধী, জাতীয় নরিাপত্তার জন্য হুমকি ও জনশৃংখলার জন্য হুমকি এমন ধারণা প্রচার করছে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আগস্ট দ্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৬ নামের এ বিলটি অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রীপরিষদ।
বর্তমানে এটি জাতীয় সংসদে মূলতবি অবস্থায় আছে। যদি এ বিলটি সংসদে পাস হয়ে আইনে পরিণত হয় তাহলে তার অধীনে একটি নতুন এজেন্সি তৈরি করা হবে। তাদের কাজ হবে কেউ নীতির লঙ্ঘন করছে কিনা তা নজরদারি করা। এর আওতায় থাকবে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়। নজরদারি করা হবে কেই এসব মিডিয়া ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছে কিনা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে কিনা, শত্রুতার জন্ম দিচ্ছে কিনা এবং আইন শৃংখলায় কোন ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে কিনা। এ বিলটি আইনে পরিণত হলে এর দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে থাকবে যাবজ্জীবন কারাদ-। যদি পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে বা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে তাহলে এ রকম শাস্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। যদি জন শৃংখলায় বিঘœ ঘটায় তাহলে ৭ বছরের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া বা মানহানি করলে এ বিলের অধীনে শাস্তি হবে ২ বছর। সিপিজে লিখেছে, কবে এ বিলটি পার্লামেন্টে ভোটে তেলা হবে তার নির্ধারিত সময় সম্পর্কে তারা জানে না। এতে বলা হয়েছে, মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ সাইফুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, ২০১৩ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুুক্তি (সংশোধনী) আইনের সাইবার সন্ত্রাস দমন ও অন্যান্য সাইবার অপরাধের যে অনুচ্ছেদ আছে সেখানে প্রতিস্থাপন করা হবে এ বিলটি। তিনি বলেছেন, সাইবার সন্ত্রাসের মতো অপরাধের জন্য প্রস্তাবিত এ বিল অনুযায়ী শাস্তি হবে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল। যদি দেখা যায় কম্পিউটার, মোবাইল ফোন অথবা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস ব্যাবহার করে কেউ রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য প্রচার করছে তাহলে এ বিলে তাকে দু’বছরের জেল দেয়ার কথা বলা হয়েছে।