গ্রাম বাংলা ডেস্ক: শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের দুটি পক্ষ পৃথক সমাবেশ করেছে। মাত্র ৫০ গজের মধ্যে দুই পক্ষের সমাবেশের কারণে কোনো পক্ষের বক্তার বক্তব্য ভালোভাবে শুনতে পাননি শ্রোতারা।
পৃথক দুটি সমাবেশের মাইকের তীব্র শব্দে অনেককেই কানে আঙুল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
পৃথক সমাবেশ হলেও দাবি ছিল প্রায় একই। মঞ্চের ইমরান এইচ সরকার পক্ষটি যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে টালবাহানার প্রতিবাদে গণসমাবেশ করেছে। অন্যদিকে কামাল পাশার অংশটি যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। ইমরান এইচ সরকারের সমাবেশে কয়েক শ লোক ছিলেন। আর কামাল পাশার সমাবেশে ছিলেন ৪০ থেকে ৫০ জনের মতো লোক। তবে গণমাধ্যমের ক্যামেরাগুলো ইমরানের অংশের সংবাদ সংগ্রহে ব্যস্ত ছিল বেশি। কামাল পাশা অংশের সমাবেশে লোক তেমন না থাকলেও দুটি মাইক ইমরান এইচ সরকারের সমাবেশের দিকে মুখ করে রাখা ছিল। ফলে কামাল পাশার সমাবেশের বক্তব্য সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু শোনা গেলেও ইমরানের সমাবেশের কারও বক্তব্যই প্রায় শোনা যাচ্ছিল না।
আগামী ১৯ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয় অভিমুখে মঞ্চের গণপদযাত্রা
সন্ধ্যায় সমাবেশের শেষ বক্তা হিসেবে সংগঠনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, আগামী ১৪ ও ১৫ নভেম্বর গণজাগরণ মঞ্চের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে ১৯ অক্টোবর তাঁরা ছয়টি দাবিতে আইন মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবেন। তাঁদের দাবির মধ্যে আছে, যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধান বাতিল, সাঈদীর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করা ও জামায়াত নিষিদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি জানান, এখন থেকে সম্মেলন হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁরা সারা দেশে জাগরণযাত্রা ও কর্মী সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাবেন।
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের পেটাল পুলিশ, আহত ১০
ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা ও পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে সরকার। কিন্তু এটা হতে দেওয়া হবে না। তিনি নাম উল্লেখ না করে কামাল পাশা অংশের সমাবেশের সমালোচনা করে বলেন, তাঁরা এক সপ্তাহ আগে কর্মসূচি দিয়েছেন। তখন অন্য কারও কর্মসূচি ছিল না। এখন হঠাৎ করে মাইক এনে বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি বলেন, অনেকেই এখন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মাঠে নেমেছেন।
অপর অংশের নেতা কামাল পাশা সমাবেশে বলেছেন, তাঁরা ঈদের পর গণজাগরণ মঞ্চের কমিটি গঠন করবেন। এখন মঞ্চের কোনো কমিটি নেই। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি আদায়ে কাজ করছেন। তাঁদের কোনো অংশ নেই। সবাই মঞ্চের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন।