গণমাধ্যমের প্রতি প্রধানমন্ত্রী যত খুশি গঠনমূলক সমালোচনা করুন

Slider জাতীয় বিনোদন ও মিডিয়া সারাদেশ

e3f9133d71850836a569e3fff023f9a4-PM-1

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘যত খুশি সমালোচনা করুন, আপত্তি নেই। তবে সে সমালোচনা অবশ্যই গঠনমূলক হতে হবে। গণমাধ্যমের সমালোচনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমি যেকোনো ভুল সংশোধন করতে চাই।’

আজ বুধবার তাঁর কার্যালয়ে অসুস্থ, অসচ্ছল এবং দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের জন্য বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের (বিজেডব্লিউটি) পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির চরিত্রের কোনো বদল হয়নি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানসন্ততি, আত্মীয়স্বজনকে নবগঠিত কমিটিতে স্থান দিয়ে বিষয়টি তারা পুরো জাতির কাছে স্পষ্ট করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের পর আপনারা দেখেছেন কী ঘটেছে, সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মানুষের ওপর এরা আক্রমণ করেছে এবং এদের চরিত্র একটুও বদলায়নি। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, যাদের বিচার হয়েছে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে, এদেরই ছেলেপেলে নিয়ে যদি কোনো দল গঠন করা হয়, তো সেই দল কি এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে?

বিএনপি শাসনামলের তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকাকালে জঙ্গিবাদের বিস্তৃতি হয়েছে, বাংলা ভাইয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করেছে, উসকে দিয়েছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আপনারা সোচ্চার ছিলেন, আরও হতে হবে। আমরা চাই দেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চা হোক।’ তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা অবশ্যই রয়েছে, কিন্তু সে স্বাধীনতা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে উপভোগ করতে হবে।

অনলাইন পত্রিকার জন্য নীতিমালা করা জরুরি বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনলাইন পত্রিকা ব্যাপকভাবে বের হচ্ছে। তবে এর কোনো নীতিমালা নেই। সরাসরি সংবাদ পরিবেশন ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এমন কোনো সংবাদ যেন পরিবেশন না হয়, যা সরকারের কোনো অপারেশনের তথ্য সন্ত্রাসী তথা জঙ্গিদের জানিয়ে দেয়।
সাংবাদিক হত্যার বিচার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এ জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।

১৯৬ সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা ও নিউজপেপার এমপ্লয়িজ সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন অ্যাক্ট ১৯৭৪-এর পুনর্বহালের দাবি তোলেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী সব দাবিই সময় অনুযায়ী বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘অষ্টম ওয়েজ বোর্ড আমরা দিয়েছি। আপনারা নবমের দাবি তুলেছেন। এখানে মন্ত্রী আছেন, আমি বলব, যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।’

অনুষ্ঠানে ডেইলি অবজারভার পত্রিকার পক্ষ থেকে তহবিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ১০ লাখ টাকার অনুদানের চেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ, তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও মহাসচিব ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি শাবান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রাহাত খান, গোলাম সারওয়ার, আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *