এর আগে গত ৩ আগস্ট বাবুল আক্তার তাঁর কর্মস্থল পুলিশ সদর দপ্তরে গিয়ে লিখিতভাবে কাজে যোগ দিতে চান। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাঁকে জানিয়ে দেন, তাঁকে আর কাজে যোগদান করতে দেওয়া সম্ভব নয়। পরদিন ৪ আগস্ট বাবুল পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি (প্রশাসন) বরাবর লিখিতভাবে যোগদানপত্র জমা দেন। এতে তিনি বলেন, স্ত্রী খুন হওয়ার পর দুই সন্তানের দেখাশোনার জন্য কর্মকর্তাদের পরামর্শমতো তিনি শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে দুই সন্তানকে নিয়মিত চিকিৎসকের কাছেও নেওয়া হচ্ছে। অনুপস্থিতির সময়টা ছুটি হিসেবে নিয়ে তাঁকে কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিতে অনুরোধ করেন বাবুল।
স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে দেওয়া এক আবেদনে বাবুল আক্তারের তিনি বলেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি, বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেছেন, বাধ্য করা হয়নি, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
স্ত্রী খুনের পর একজন পুলিশ সুপারকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাধ্য করার প্রশ্নই ওঠে না, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। অনেক দিন অপেক্ষা করে সেই পদত্যাগপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে তাঁর শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনও দাবি করেছিলেন, বাবুল স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তিনি অভিযোগ করেন, বাবুল চাইলেও তাঁকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হয়ে আসার দুই দিন পর গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গত ২৪ জুন গভীর রাতে খিলগাঁওয়ের ভূঁইয়াপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুলকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আবার তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। ওই জিজ্ঞাসাবাদের সময় পদত্যাগপত্রে সই করেন বাবুল।
প্রায় দেড় মাস সেই পদত্যাগপত্র পুলিশ সদর দপ্তরে থাকার পর কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, পুলিশ সদর দপ্তরে যোগদান করতে না পেরে সই করা পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য গত ৯ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে আবেদন করেন বাবুল। এতে তিনি বলেন, ‘বিগত ২৪ জুন তারিখে পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে বাধ্য হয়ে আমাকে চাকরির অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। স্ত্রীর মৃত্যুশোক, সদ্য মা-হারা দুটো শিশুর ব্যাকুলতায় প্রতিকূল ও বিপর্যস্ত মানসিক অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে আমি চাকরি হতে অব্যাহতির আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘উক্ত অব্যাহতিপত্রটি প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছি, যা আমি স্বেচ্ছায় দাখিল করিনি।’
এর আগে তাঁর শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনও দাবি করেছিলেন, বাবুল স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তিনি অভিযোগ করেন, বাবুল চাইলেও তাঁকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হয়ে আসার দুই দিন পর গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গত ২৪ জুন গভীর রাতে খিলগাঁওয়ের ভূঁইয়াপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুলকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আবার তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। ওই জিজ্ঞাসাবাদের সময় পদত্যাগপত্রে সই করেন বাবুল। প্রায় দেড় মাস সেই পদত্যাগপত্র পুলিশ সদর দপ্তরে থাকার পর কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, পুলিশ সদর দপ্তরে যোগদান করতে না পেরে সই করা পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য ৯ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে আবেদন করেন বাবুল। এতে তিনি বলেন, ‘গত ২৪ জুন তারিখে পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে বাধ্য হয়ে আমাকে চাকরির অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। স্ত্রীর মৃত্যুশোক, সদ্য মা-হারা দুটি শিশুর ব্যাকুলতায় প্রতিকূল ও বিপর্যস্ত মানসিক অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে আমি চাকরি হতে অব্যাহতির আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘উক্ত অব্যাহতিপত্রটি প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছি, যা আমি স্বেচ্ছায় দাখিল করিনি।’