ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না। চলতি সপ্তাহর মধ্যেই বিষয়টি নিশ্চত হওয়া যাবে। আগামী মাসের শেষ দিন বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের। তার আগে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানান তারা। বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি পর্যবেক্ষক দল পাঠায় ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। তিন সদস্যের ওই দলটি গত সপ্তাহে দেশে ফিরেছেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে গিয়ে বোর্ডের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিবেন। তাদের ওই প্রতিবেদনের ওপরই নির্ভর করছে ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফর করা, না করা। তবে তার আগে পর্যবেক্ষক দলের প্রধান রেগ ডিকাসনের কিছু মতামত তুলে ধরেছে ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশের স্টেডিয়াম ও হোটেলে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই রেগ ডিকাসনের। তবে খেলোয়াড়দের বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যাওয়া এবং খেলার সময় স্টেডিয়াম থেকে হোটেলে যাতায়াতের সময় রাস্তার নিরপত্তা নিয়ে তিনি শঙ্কিত। তার এই শঙ্কার বড় কারণ ঢাকা ও চট্টগ্রামে খেলোয়াড়দের যাতায়াতের রাস্তার পাশে বড় বড় ভবন। এইসব ভবন থেকে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে তার শঙ্কা। আর রাস্তার দুইপাশের লাগোয়া এত ভবনকে একসঙ্গে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি। এছাড়া ওই সফরে ইংল্যান্ডের সমর্থকদের নিরাপত্তা নিয়েও তার বড় শঙ্কা। কারণ, খেলোয়াড়দের হোটেলগুলোকে নিñিদ্র নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব হলেও ইংলিশ সমর্থকদের হোটেলে সেটা সম্ভব হবে না। কারণ, খেলোয়াড়দের চেয়ে তারা কম খরচের হোটেলে থাকবে। এছাড়া ২০১১ সালের ঢাকার একটি ঘটনাকেও সামনে এনেছে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’। সে বছর বিশ্বকাপের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের বহনকারী গাড়িতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল দর্শক ইট-পাটকেল ছোড়ে। যাতে তাদের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। তখন বিষয়টির সমালোচনা করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল।
২ টেস্ট ও ৩ ওয়ানডে খেলার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশস ফরে আসার কথা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের। তবে গত ১লা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিকে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশে নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানায় ইংল্যান্ড।
২ টেস্ট ও ৩ ওয়ানডে খেলার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশস ফরে আসার কথা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের। তবে গত ১লা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিকে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশে নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানায় ইংল্যান্ড।