বিশেষ প্রতিনিধি: বাবা ছিলেন বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী। হয়ত বাবার উত্তরসূরী হিসেবে আইন পাশ করেছেন ছেলে। আইনজীবীর ছেলে আইনজীবী হতে গিয়েও তার নজর পড়ে যায় অন্য দিকে। তিনি শখের তোলা আশি টাকা মনে করে বাড়ির ছাদে করেছেন বাগান। নানা ধরণের ফুল ও ফলের বাহারী চাষ। ৬ তলা বাড়ির ৪, ৫ ও ৬তলায় অনেক সুন্দর করে গড়ে তুলছেন ফুল ও ফলের বাগান। ৪তলার আংশিক ছাদ থাকায় ৬ তলা ভবনের তিন তলাই তিনি বাগান হিসেবে ব্যবহার করতে পারছেন।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে এই বাগান এখন অনেক বড় হয়েছে। একটি বাড়ির তিনটি ছাদেই ফুল ও ফলের বাগান হওয়ায় পরিচর্যার জন্য একাধিক লোকের প্রয়োজন পড়ে যায়। আর ওই লোক গুলোকে বেতন দেয়ার ফলে বাড়ির ছাদে সৃজিত বাগান হয়ে যাচ্ছে কর্মসংস্থানের কর্মস্থল। বর্তমানে বাগান যতই উন্নত হচ্ছে ততই কর্মসংস্থানের পরিধিও বাড়ছে।
এলাকাবাসী বলছেন, আস্তে আস্তে বাড়ির ছাদের বাগানটি বড় হয়ে গেলে বেশ কিছু লোকের কর্মসংস্থানও হবে। আর এটিকে মডেল হিসেবে মনে করে সামাজিক ভাবে জনগনকে সচেতন করতে পারলে শহর ও গ্রামের বাড়ির ছাদ গুলো হতে পারে বিকল্প কর্মসংস্থানের একটি অধিক্ষেত্র। সরকারের উচিত এই রোল মডেলকে কর্মসংস্থানের নতুন ক্ষেত্র হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করা।
গাজীপুর শহরের জোড়পুকুর পাড়। মোড় থেকে কয়েক গজ দক্ষিন দিকে রাস্তার পাশে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মরহুম নূর হোসেন চৌধুরীর বাড়ি। ৬তলা বাড়ি হলেও অবকাঠামোগত কারণে ছোট বড় মিলিয়ে তিনটি ছাদ। এই তিনটি ছাদেই গড়ে উঠেছে একটি সুন্দর ও মনোরম বাহারী ফুল ও ফলের বাগান। বাগানটি করেছেন নূর হোসেন চৌধুরীর ছেলে জাকির হোসেন চৌধুরী দিপু। আইন বিষয়ে লেখা পড়ার পাশাপাশি তিনি নিজ বাড়ির ছাদে এই বাগানটিও করেছেন।
দিপুর জানান, দেশের সকল বাড়ির ছাদে বড় ধরণের বাগান গড়ে উঠলে কর্মসংস্থানের একটি বিকল্প অধিক্ষেত্র তৈরী হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে ভাল হয়। আর এই প্রকল্প যতই বাড়কে ততই বেকার ও শিক্ষিত বেকার লোকের কর্মসংস্থান তৈরী হবে।
দিপু নিজের করা বাগানের বর্ননা করতে গিয়ে বলেন, তার ছাদের বাগানে যে সকল প্রজাতির ফল ও ফুলের গাছ আছে তার মধ্যে অন্যতম হল, আম বারি ১ থকেে ১০,আশ্বিনী আম, কিউসাই, সিন্দিুর। কাঠাল, জাম্বুরা, লেবু,মাল্টা,কমলা, নারিকেল, পেয়ারা, সজনে, আপেল, আলুবুখারা, রঙ্গন, জামরুল এলাচি, সুপারি, দারুচিনি, লং, হাইড্রকুটাইল, আখ, জুই ফুল, চামেলী,জবা,গোলাপ,পানিকা,কৃষ্ণচূড়া, কাটগোলাপ,বেলী,মে ফ্লাওয়ার ছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাস ও অর্কিড সহ বনসাই এর বিশাল সমাহার এবং দুর্লভ প্রজাতরি বাউবাব(BAOBAB) গাছ।