বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, এটা এখন পরিষ্কার, জঙ্গিবাদকে সরকার নির্মূল করতে চায় না। সরকার জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায়। এ জন্য আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে জঙ্গিবাদ ক্রমেই বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আজ সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের যে দানব দেশকে গ্রাস করতে চলেছে, সেই জঙ্গিবাদকে সুষ্ঠুভাবে মোকাবিলা না করে শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলোর দ্রুত অবসানের লক্ষে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ব্যাপারে সবাই ঐকমত্য হয়েছেন। জিয়াউর রহমানের বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িতের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের পর ক্ষমতায় বসেছিল কারা? আওয়ামী লীগ। সুতরাং এটা খুব পরিষ্কার, যারা শেখ মুজিব হত্যার পরে ক্ষমতায় বসেছিল, তারাই এটার মূল চাবিকাঠি ঘুরিয়েছিল। সদ্যঘোষিত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দলের মহাসচিব বলেন, কমিটি নিয়ে অনেকের অসন্তুষ্টি থাকতেই পারে। কারণ, বিএনপি একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। ৫০২ জনের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সব যোগ্য লোককে জায়গা দেওয়া সম্ভব হয়নি। স্বাভাবিকভাবে এ বিষয়ে কিছু ক্ষোভ-অসন্তুষ্টি থাকতে পারে। কিন্তু এটি একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়েছে। আমরা দেখেছি, সামগ্রিকভাবে এটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। গতরাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে নবনির্বাচিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিএনপির চেয়ারপারসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধনের কয়েকটি বিধান গৃহীত হয়েছে এবং তা অবিলম্বে গঠনতন্ত্রে সন্নিবিষ্ট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে চলমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিত বিরাজ করছে, তার সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে এবং এটা আলোচিত হয়েছে যে, বাংলাদেশ বর্তমানে এখন গণতন্ত্রহীনতা চলছে, কোনো মানুষের নিরাপত্তা নেই। রাষ্ট্র তার সমস্ত যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করে কেবল ভিন্নমত নয়, সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার–নির্যাতন চালাচ্ছে।