জেলখানা উপচে পড়ছে কয়েদি। তাই ৩৮ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে তুরস্ক। না, তারা ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত আসামি নন। যাদেরকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে তারা ওই অভ্যুত্থান চেষ্টার আগের বিভিন্ন অপরাধে বন্দি। তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে জেলখানায় অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের জন্য স্থান সংকুলান করা হবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। বুধবার তুরস্কের আইনমন্ত্রী বেকির বোজডাগ বলেছেন, ১৫ই জুলাই অভ্যুত্থান চেষ্টার পরে জেলখানায় বন্দি আর ধরছে না। তাই ১লা জুলাইয়ের আগে বিভিন্ন অপরাধে যারা বন্দি রয়েছে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হবে। টুইটারে তিনি ধারাবাহিকভাবে বার্তা দিচ্ছেন, এই মুক্তি মানে মাফ করে দেয়া নয়। অভিযুক্ত এসব কয়েদিকে ক্ষমা করে দেয়া হচ্ছে না, বরং তারা মুক্তি পাচ্ছে প্যারোলে। তবে যারা খুন, সন্ত্রাস, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধে অভিযুক্ত, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত তারা এর আওতায় আসবে না। যারা এ বছর জুলাইয়ের আগে বিভিন্ন অপরাধে সাজা পেয়েছে তাদেরকেই শুধু মুক্তি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের এই প্রস্তাবের ফলে প্রথম দফায় মুক্তি পাবে প্রায় ৩৮ হাজার আসামি।
তুরস্কের মিডিয়াতে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ১৫ই জুলাই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর সরকার সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে জেলে রাখায় সেখানকার জেলখানাগুলোতে তিল ধারণের স্থান নেই। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ হাজার ৬০০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তুরস্কের মিডিয়াতে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ১৫ই জুলাই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর সরকার সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে জেলে রাখায় সেখানকার জেলখানাগুলোতে তিল ধারণের স্থান নেই। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ হাজার ৬০০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।