আবেগঘন পরিবেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে। আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়সমূহে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। পাশাপাশি উত্তোলন করা হয় শোকের পতাকা। ভোরেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাঁদের গার্ড অব অনার দেয়। পরে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে ১৫ আগস্টে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে দলের সভাপতি হিসেবে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার পর স্থানটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষও। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও নানা কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়েছে। এছাড়া বিশেষ এ দিনটিতে আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আবেগঘন ঐতিহাসিক বক্তৃতা চলছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। জাতীয় দিবসটিতে সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচীতে।