মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের পঞ্চম নিরাপত্তা সংলাপের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ২রা অক্টোবর ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় ওই সংলাপ হওয়ার সূচি রয়েছে। একাধিক দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্র মতে, বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের কারণে খানিক আগে থেকেই ঢাকার তরফে নিরাপত্তা সংলাপের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের চূড়ান্ত তালিকা এখনও সেগুনবাগিচায় পৌঁছায়নি। সাধারণত স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিরাপত্তা সংলাপে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। কূটনৈতিক সূত্র মতে, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট গত ১৫ দিনের মধ্যে দু’দফা পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে দ্বিপক্ষীয় অন্যান্য ইস্যুর সঙ্গে নিরাপত্তা সংলাপ প্রস্তুতি নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে আসন্ন নিরাপত্তা সংলাপে সন্ত্রাস ও সহিংস-চরমপন্থা দমনে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা দিয়েছেন ঢাকার কূটনীতিকরা। তাদের দেয়া তথ্যমতে, এটা প্রায় চূড়ান্ত যে এবারের সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। যদিও সর্বশেষ গত বছরে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সংলাপে মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজানুর রহমান (দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কবিষয়ক) নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সমপ্রতি তিনি কানাডার হাইকমিশনার হিসেবে তার নতুন অ্যাসাইনমেন্টে যোগ দিয়েছেন। এখনও তার শূন্য পদে কেউ যোগ দেননি। সূত্র মতে, নিরাপত্তা সংলাপে সন্ত্রাস ও চরমপন্থা ছাড়াও আঞ্চলিক সহযোগিতা, প্রথাগত ও অ-প্রথাগত নিরাপত্তা, সামরিক সহযোগিতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাইবার নিরাপত্তা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না জানিয়ে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, নব সৃষ্ট বিভিন্ন উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এবারে উল্লিখিত বিষয়ে আরো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হবে। আশা করি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঢাকা-ওয়াশিংটন পারস্পরিক সহযোগিতা আরো স্পষ্ট এবং সুদৃঢ়করণে এ সংলাপ সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে নিরাপত্তা সংলাপ হয়ে আসছে উল্লেখ করে অপর এক কর্মকর্তা বলেন, এক বছর অন্তর ঢাকা ও ওয়াশিংটনে এটি হয়ে আসছে। এবার বাংলাদেশ হোস্টকান্ট্রি। সুতরাং প্রস্তুতিও সেভাবে নেয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা সংলাপের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে ওই কূটনীতিক বলেন, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার এমন সংলাপে ভারত, আফগানিস্তান, মিয়ানমার তথা ভারত মহাসাগরীয় ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়ে থাকে। এবারও সেই বিষয়গুলো মোটাদাগে আলোচনায় আসবে বলে আশা করেন তিনি।
সংলাপ নিয়ে বার্নিকাট যা বললেন- গত রোববার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। এর আগে গত ২৬শে জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সচিবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। দু’টি বৈঠকেই দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষত নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। সেখানে আসন্ন নিরাপত্তা সংলাপ প্রস্তুতির বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়। বৈঠকের বিষয়ে বার্নিকাট উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে যে ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, সেসব বিষয়ে আলোচনা করেছি। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পরপরই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংলাপ হবে। এ বিষয়েও আলোচনা করেছি। আমাদের দু’দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিস্তৃত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়েও প্রশিক্ষণ রয়েছে। দু’দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আছে। দু’দেশের পুলিশের মধ্যে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে সহযোগিতা রয়েছে। সন্ত্রাস দমনে কিছু কিছু প্রকল্প অর্থায়নের অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন দূত বলেন, এসব প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন। আমরা সেই অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত রাষ্ট্রদূত সেদিন উল্লেখ করেননি।
সংলাপ নিয়ে বার্নিকাট যা বললেন- গত রোববার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। এর আগে গত ২৬শে জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সচিবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। দু’টি বৈঠকেই দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষত নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। সেখানে আসন্ন নিরাপত্তা সংলাপ প্রস্তুতির বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়। বৈঠকের বিষয়ে বার্নিকাট উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে যে ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, সেসব বিষয়ে আলোচনা করেছি। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পরপরই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংলাপ হবে। এ বিষয়েও আলোচনা করেছি। আমাদের দু’দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিস্তৃত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়েও প্রশিক্ষণ রয়েছে। দু’দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আছে। দু’দেশের পুলিশের মধ্যে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে সহযোগিতা রয়েছে। সন্ত্রাস দমনে কিছু কিছু প্রকল্প অর্থায়নের অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন দূত বলেন, এসব প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন। আমরা সেই অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত রাষ্ট্রদূত সেদিন উল্লেখ করেননি।