যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২ বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করেছে এক অস্ত্রধারী। নিহতদের একজন হলেন স্থানীয় ওজোন পার্ক এলাকায় আল ফুরকান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আকনজি। অন্যজন হলেন তার বন্ধু তারা মিয়া। শনিবার তারা ওজোন পার্কে পায়চারি করছিলেন। এ সময় এক অজ্ঞাত অস্ত্রধারী তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে। সে তাদের খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে। এ সময় তারা ছিলেন ইসলামী পোশাক পরা। স্থানীয় মিডিয়ায় এ কথা বলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোতে। বিকাল প্রায় ১টা ৫০ মিনিটের সময় তাদের ওপর ওই হামলা হয়। পুলিশ বলেছে, প্রচ- গরম ছিল এদিন। এ সময় নিহতরা ওই পার্কে গিয়ে পায়চারি করছিলেন। এ হত্যাকা-ে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় নি। কি কারণে এ হত্যাকা- হয়েছে তাও জানা যায় নি। নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র তিফফানি ফিলিপস বলেছেন, নিহতরা মুসলিম। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে হত্যাকা-ের শিকার হওয়ার মতোও কোন তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। এ হত্যাকা-ের পর প্রবাসী বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী সেখানে বিক্ষোভ করেছেন। মুসলিম এডভোকেসি গ্রুপ নিউ ইয়র্ক শাখার নির্বাহী পরিচালক আফাফ নাসের বলেছেন, এই কা-জ্ঞানহীন হত্যাকা-ে জড়িতদের দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং আইনের মুখোমুখি করতে হবে। জ্যামাইকা হসপিটাল মেডিকেল সেন্টারের মুখপাত্র আনড্রু রুবিন বলেছেন, গুলিবিদ্ধ ওই দুই ব্যক্তিকে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তাদের জীবন রক্ষার সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের বাঁচানো যায় নি। পুলিশ বলছে, হামলাকারী ছোটখাট পোশাক রা। তার গায়ে একটি পোলো শার্ট ছিল। স্থানীয়রা অস্ত্র হাতে তাকে পালিয়ে যেতে দেখেছে। পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর হেনরি সাউটনার বলেছেন, আমরা ওই এলাকার ভিডিওগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা নিয়ে কাজ করছি। উল্লেখ্য, মাওলানা আকনজি একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিত। জোন পার্ক এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে তিনি ছিলেন একজন শ্রদ্ধার পাত্র। তার ভাতিহা রাহি মজিদ (২৬) নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজকে বলেছেন, আমার চাচা কোনদিন একটি মাছিকেও আঘাত করেন নি। এ হামলার পর ইউটিউবে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবাদ জানাতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সমবেত হয়েছেন ঘটনাস্থলে। তাদের একজন বলেছেন, এটা হলো ‘হট ক্রাইম’ বা বিদ্বেষমুলক অপরাধ। ওজোন পার্কের অধিবাসী মিল্লাত উদ্দিন সিবিএস নিউ ইয়র্ককে বলেওেছন, আমরা এখানে বাস্তবেই অনিরাপদ মনে করছি। এটা আমাদের জন্য হুমকি। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি। এ এলাকায় আমাদের চলাচলের ওপর এক রকম হুমকি। আমরা এর বিচার চাই।