ভারতে কমপক্ষে ৩৬ বাংলাদেশি শিশু অবৈধভাবে আটক রয়েছে। দেশটির পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘মাসুম’-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দায়ের করা এক অভিযোগে মাসুম-এর সেক্রেটারি কিরিটি রায় বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট অবজারভেশন হোম সুভায়নে এ শিশুদের অবৈধভাবে আটক রাখা হয়েছে। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ‘এ শিশুরা বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনে দায়ের করা ফৌজদারি মামলার নিষপত্তি হলেও, তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়নি।’ কিরিটি রায় বলেন, ৩৬ শিশুর মধ্যে ১৩ জনকে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে। এরা হলো- স্বপন রায়, মো. রুবেল, নুরুল ইসলাম, মো. ইলিয়াস, গৌতম রায়, অমৃত রায়, আজিজুল ইসলাম, মো. সোহেল রানা, মিজানুর রহমান, সুজন আলী, আরিফুল ইসলাম, মো. আলামিন ও বাদশা হক। এছাড়াও আরো চার বাংলাদেশি শিশুকে বালুরঘাট পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে আটক রাখা হয়েছে। মো. আতিকুল, মো. শরিফ, মোকিদুল ইসলাম ও মো. সুজন নামে এ চার শিশুকে ‘বিচারাধীন’ ক্যাটাগরির অধীনে আটক রাখা হয়েছে।
মাসুম-এর কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ শিশুরা মানব পাচারের শিকার হয়ে ভারতে এসে হাজির হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ নথিপত্র ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।
এ শিশুদের একজন রমজান হক। তার বয়স মাত্র ৬ বছর। ২০০৯ সালের নভেম্বরে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে তাকে ভর্তি করা হয়। তখন থেকে এখানেই থাকছে সে। ১০ বছর বয়সী এনামুল হক ২০১৪ সাল থেকে এখানে থাকছে। এছাড়া কয়েক মাস ধরে আটকে আছে এমন শিশুরা হলো: মো. মোমেন, মো. অসীম, মো. জানারুল ইসলাম, মো. সোহেল রানা, গোলাম মুস্তাফা, মো. জুবায়ের, মো. সোহান শেখ, মো. দুলাল আলী, মো. রাজু ইসলাম, শ্রীকৃষ্ণ নাথ তপু, কৃষ্ণ তপু, রবি আলম, মো. জুনায়েদ পাঠান, ইলিয়াস আলী বাদশা, রাফি শেখ ও নাজমুল হক। মাসুমের অভিযোগে বলা হয়, পুরো ঘটনাটি নিরপেক্ষ একটি তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করা উচিত। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ কমিশনের নিজস্ব তদন্ত সংস্থা রয়েছে। এতে আরো বলা হয়, ভুক্তভোগী শিশুদের অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে নিজ বাড়িতে পাঠানো উচিত। পাশাপাশি এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবশ্যই শাস্তি দেয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। মাসুম আরো দাবি জানিয়েছে, অবৈধভাবে আটক রয়েছে এমন অন্যান্য বিদেশি নারী ও শিশুদের অনতিবিলম্বে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হোক।
মাসুম-এর কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ শিশুরা মানব পাচারের শিকার হয়ে ভারতে এসে হাজির হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ নথিপত্র ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।
এ শিশুদের একজন রমজান হক। তার বয়স মাত্র ৬ বছর। ২০০৯ সালের নভেম্বরে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে তাকে ভর্তি করা হয়। তখন থেকে এখানেই থাকছে সে। ১০ বছর বয়সী এনামুল হক ২০১৪ সাল থেকে এখানে থাকছে। এছাড়া কয়েক মাস ধরে আটকে আছে এমন শিশুরা হলো: মো. মোমেন, মো. অসীম, মো. জানারুল ইসলাম, মো. সোহেল রানা, গোলাম মুস্তাফা, মো. জুবায়ের, মো. সোহান শেখ, মো. দুলাল আলী, মো. রাজু ইসলাম, শ্রীকৃষ্ণ নাথ তপু, কৃষ্ণ তপু, রবি আলম, মো. জুনায়েদ পাঠান, ইলিয়াস আলী বাদশা, রাফি শেখ ও নাজমুল হক। মাসুমের অভিযোগে বলা হয়, পুরো ঘটনাটি নিরপেক্ষ একটি তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করা উচিত। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ কমিশনের নিজস্ব তদন্ত সংস্থা রয়েছে। এতে আরো বলা হয়, ভুক্তভোগী শিশুদের অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে নিজ বাড়িতে পাঠানো উচিত। পাশাপাশি এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবশ্যই শাস্তি দেয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। মাসুম আরো দাবি জানিয়েছে, অবৈধভাবে আটক রয়েছে এমন অন্যান্য বিদেশি নারী ও শিশুদের অনতিবিলম্বে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হোক।