বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় প্রকাশ করা হয়েছে। আজ তা সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। রায়টি লিখেছেন, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। রায়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বেঞ্চের অপর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক। তবে কণিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হয়। গত ৫ই মে এ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে এ রায় দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আদি সংবিধানে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যাস্ত ছিল। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের ওপর ন্যস্ত করা হয়। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে। প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণ দুই বিচারপতির সমন্বয়ে এ কাউন্সিল গঠিত ছিল। সুপ্রিম কোর্ট পঞ্চম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করলেও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান বহাল রাখে। ২০১৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিলুপ্ত করে বিচারক অপসারন সংক্রান্ত ক্ষমতা আবারও জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসাদুজ্জামান সিদ্দিকীসহ ৯ আইনজীবী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন জেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসি।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হয়। গত ৫ই মে এ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে এ রায় দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আদি সংবিধানে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যাস্ত ছিল। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের ওপর ন্যস্ত করা হয়। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে। প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণ দুই বিচারপতির সমন্বয়ে এ কাউন্সিল গঠিত ছিল। সুপ্রিম কোর্ট পঞ্চম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করলেও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান বহাল রাখে। ২০১৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিলুপ্ত করে বিচারক অপসারন সংক্রান্ত ক্ষমতা আবারও জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসাদুজ্জামান সিদ্দিকীসহ ৯ আইনজীবী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন জেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসি।