স্বৈরাচারী প্রবণতার অভিযোগে ইইউ, অ্যামেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনার পাত্র৷ মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে রেকর্ড তেমন ভালো নয়৷ তাই বিবাদ ভুলে বন্ধুত্বের পথেই এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর এর্দোয়ান ও পুটিন৷
শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু, বিশেষ করে আমরা দু’জনেই যখন কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছি…’ – অনেকটা এমন ভাবনা নিয়েই মিলিত হলেন রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান ও ভ্লাদিমির পুটিন৷ অথচ কিছুদিন আগে পর্যন্ত তুরস্ক ও রাশিয়ার এই দুই শীর্ষ নেতা পরস্পরের বিরুদ্ধে তর্জন-গর্জন করে আসছিলেন৷ গত বছর নভেম্বর মাসে তুরস্কের আকাশে রুশ বোমারু বিমান ধ্বংসের পর দুই দেশ একে অপরের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞাও চাপিয়েছিল৷ কিন্তু তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর পুটিনই সবার আগে এর্দোয়ান-এর প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোণঠাসা দুই নেতাই ঘনিষ্ঠতার সেই সুযোগ ছাড়েননি৷ মঙ্গলবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হতে চলেছেন তাঁরা৷ দু’জনের মধ্যে উষ্ণতার কোনো ঘাটতি দেখা যাবে না – এমনটা এখনই দাবি করা যেতে পারে৷অভ্যুত্থানের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর এটাই এর্দোয়ানের প্রথম বিদেশ সফর৷ রাজধানী মস্কো নয়, পুটিনের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গকেই বেছে নেওয়া হয়েছে এই ‘কৌশলগত’ সাক্ষাতের জন্য৷ সফরের আগে রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এর্দোয়ান বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবেও আন্তরিকতার সঙ্গে পুটিন ও রুশ জনগণকে ‘সেলাম’ করছেন৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন করে ঢেলে সাজানোরও অঙ্গীকার করেন তিনি৷সম্পর্কের উন্নতির প্রচেষ্টা অবশ্য গত জুন মাসেই শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ জুন মাসে এর্দোয়ান রুশ বিমান পতনের ঘটনার ফলে দুঃখ প্রকাশ করেন৷ সেই বিবৃতিকে ক্ষমা হিসেবে মেনে নিয়ে পুটিন তুরস্কের উপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করেন৷ ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর পুটিনই সবার আগে টেলিফোনে এর্দোয়ানের সঙ্গে কথা বলেন৷কৃষ্ণ সাগর ও মধ্যপ্রাচ্যে দুই দেশই নিজেদের কৌশলগত স্বার্থ কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অ্যামেরিকার সঙ্গে দুই দেশের বর্তমান শীতল সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে সংঘাতের বদলে সহযোগিতার পথেই হাঁটতে চাইছে তুরস্ক ও রাশিয়া৷ ব্যক্তি হিসেবেও প্রায় সমবয়সি পুটিন ও এর্দোয়ানের চরিত্রে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়৷ দুজনেই কড়া হাতে শাসন করে নিজেদের দেশের ‘গৌরব’ ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, মানবাধিকার নিয়ে দু’জনেরই মাথাব্যথা কম৷তবে যে সব বিষয়ে তুরস্ক ও রাশিয়ার মতবিরোধ এখনো দূর হয়নি, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সিরিয়ার রাজনৈতিক সমীকরণ ও তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস সম্পর্কে সরকারি নীতি৷ রাশিয়া বাশার আল-আসাদকে পুরোপুরি সমর্থন করে৷ আইএস সহ সব বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সে দেশ সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে৷ অন্যদিকে আসাদ-বিরোধী এর্দোয়ান আইএস-এর প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন বলে রাশিয়া অভিযোগ করে এসেছে৷ এর্দোয়ান-পুটিন নতুন মৈত্রীর ফলে সেই মনোভাবে পরিবর্তন আসে কিনা, তার উপর নজর রাখবে রাজনৈতিক মহল৷
শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু, বিশেষ করে আমরা দু’জনেই যখন কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছি…’ – অনেকটা এমন ভাবনা নিয়েই মিলিত হলেন রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান ও ভ্লাদিমির পুটিন৷ অথচ কিছুদিন আগে পর্যন্ত তুরস্ক ও রাশিয়ার এই দুই শীর্ষ নেতা পরস্পরের বিরুদ্ধে তর্জন-গর্জন করে আসছিলেন৷ গত বছর নভেম্বর মাসে তুরস্কের আকাশে রুশ বোমারু বিমান ধ্বংসের পর দুই দেশ একে অপরের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞাও চাপিয়েছিল৷ কিন্তু তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর পুটিনই সবার আগে এর্দোয়ান-এর প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোণঠাসা দুই নেতাই ঘনিষ্ঠতার সেই সুযোগ ছাড়েননি৷ মঙ্গলবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হতে চলেছেন তাঁরা৷ দু’জনের মধ্যে উষ্ণতার কোনো ঘাটতি দেখা যাবে না – এমনটা এখনই দাবি করা যেতে পারে৷অভ্যুত্থানের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর এটাই এর্দোয়ানের প্রথম বিদেশ সফর৷ রাজধানী মস্কো নয়, পুটিনের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গকেই বেছে নেওয়া হয়েছে এই ‘কৌশলগত’ সাক্ষাতের জন্য৷ সফরের আগে রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এর্দোয়ান বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবেও আন্তরিকতার সঙ্গে পুটিন ও রুশ জনগণকে ‘সেলাম’ করছেন৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন করে ঢেলে সাজানোরও অঙ্গীকার করেন তিনি৷সম্পর্কের উন্নতির প্রচেষ্টা অবশ্য গত জুন মাসেই শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ জুন মাসে এর্দোয়ান রুশ বিমান পতনের ঘটনার ফলে দুঃখ প্রকাশ করেন৷ সেই বিবৃতিকে ক্ষমা হিসেবে মেনে নিয়ে পুটিন তুরস্কের উপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করেন৷ ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর পুটিনই সবার আগে টেলিফোনে এর্দোয়ানের সঙ্গে কথা বলেন৷কৃষ্ণ সাগর ও মধ্যপ্রাচ্যে দুই দেশই নিজেদের কৌশলগত স্বার্থ কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অ্যামেরিকার সঙ্গে দুই দেশের বর্তমান শীতল সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে সংঘাতের বদলে সহযোগিতার পথেই হাঁটতে চাইছে তুরস্ক ও রাশিয়া৷ ব্যক্তি হিসেবেও প্রায় সমবয়সি পুটিন ও এর্দোয়ানের চরিত্রে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়৷ দুজনেই কড়া হাতে শাসন করে নিজেদের দেশের ‘গৌরব’ ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, মানবাধিকার নিয়ে দু’জনেরই মাথাব্যথা কম৷তবে যে সব বিষয়ে তুরস্ক ও রাশিয়ার মতবিরোধ এখনো দূর হয়নি, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সিরিয়ার রাজনৈতিক সমীকরণ ও তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস সম্পর্কে সরকারি নীতি৷ রাশিয়া বাশার আল-আসাদকে পুরোপুরি সমর্থন করে৷ আইএস সহ সব বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সে দেশ সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে৷ অন্যদিকে আসাদ-বিরোধী এর্দোয়ান আইএস-এর প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন বলে রাশিয়া অভিযোগ করে এসেছে৷ এর্দোয়ান-পুটিন নতুন মৈত্রীর ফলে সেই মনোভাবে পরিবর্তন আসে কিনা, তার উপর নজর রাখবে রাজনৈতিক মহল৷
সুত্রঃ ডয়েচে ভেলে