কেমিক্যাল জাতীয় সাদা পাউডারের আবরণে ঢাকা কালো নোট। এই নোটের ওপর কেমিক্যাল জাতীয় এক ধরনের তরল পদার্থ ঢেলে ঘষা দিলেই বেরিয়ে আসে আসল মার্কিন ডলার। এইভাবে কার্টনভর্তি কালো নোট মানুষকে দেখানো হতো। সহজ-সরল মানুষের কাছে বিক্রি করা হতো এই পাউডার মাখানো কালো নোট এবং তরল কেমিক্যাল। প্রলোভনে পড়ে মানুষ কিনতোও। কিন্তু কিনেই বুঝতে পারতো প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে তারা। কার্টন ভর্তি নোটের উপরের দিকে দু’একটি নোট আসল হলেও বাকিগুলো থাকতো সাদা কাগজ। অভিনব এই প্রতারণার দায়ে রোববার র্যাব-২ গ্রেপ্তার করেছে ৯ বিদেশি ও এক বাংলাদেশিকে। ওইদিন বিকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের গ্র্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নাসিরা (৩৫), জিয়ান কলাউদি (৪০), মারি ময়না পরি তাইলর (২৬), গনো ডিসার (৩৭), কামবিওয়া দিও (৪৩), টিয়াদিও বার্নাড (৩৪), মগোয়িম সলো (৪২), এনগোনগা দিয়াসোনামা মিরলিন (৪১), মতোমবো ইউসুফ (৪৪) ও মিমবা এরগিস (৩৭)। বিদেশি ৯ জন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণের জাল টাকার নোট ও তৈরি উপকরণ উদ্ধার করা হয়। গতকাল সকালে র্যাব-২ এর আগারগাঁও কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, রোববার বিকালে বসুন্ধরার তিনটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ছয়জন ক্যামেরুন, দুজন লেসেথো ও একজন কঙ্গোর নাগরিক রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওই প্রতারক চক্রের কিছু আসল ডলার, কিংবা বাংলাদেশি টাকা একটি বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে সেটিকে কালো কাগজে পরিণত করে। সেগুলোর ওপর সাদা পাউডারের আবরণ থাকতো। পরবর্তীতে তারা সেই কালো কাগজগুলোকে ভিকটিমের সামনে পুনরায় একটি বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে আসল টাকায় পরিণত করে। পাশাপাশি প্রতারক চক্রটি বিশেষভাবে তৈরি বিপুল পরিমাণ টাকা আকৃতির কালো কাগজ মজুত রাখে। তিনি আরো জানান, প্রতারক চক্রটি ভিকটিমের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ টাকা আকৃতির এই কালো কাগজকে ডলার বানিয়ে দেয়ার জন্য কেমিক্যাল, সরঞ্জামাদি ও পারিশ্রমিক বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা অন্তর্ভুক্ত করে একটি ভুয়া চুক্তি করে। ভুয়া চুক্তির মাধ্যমেই প্রতারক চক্রটি ভিকটিমের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। কয়েকজন ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বৈধ না অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে অপর একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কয়েকজনের পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। অনেকেই ব্যবসার উদ্দেশে বাংলাদেশে এসেছে। পরে তারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়েছে। ওই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওই প্রতারক চক্রের কিছু আসল ডলার, কিংবা বাংলাদেশি টাকা একটি বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে সেটিকে কালো কাগজে পরিণত করে। সেগুলোর ওপর সাদা পাউডারের আবরণ থাকতো। পরবর্তীতে তারা সেই কালো কাগজগুলোকে ভিকটিমের সামনে পুনরায় একটি বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে আসল টাকায় পরিণত করে। পাশাপাশি প্রতারক চক্রটি বিশেষভাবে তৈরি বিপুল পরিমাণ টাকা আকৃতির কালো কাগজ মজুত রাখে। তিনি আরো জানান, প্রতারক চক্রটি ভিকটিমের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ টাকা আকৃতির এই কালো কাগজকে ডলার বানিয়ে দেয়ার জন্য কেমিক্যাল, সরঞ্জামাদি ও পারিশ্রমিক বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা অন্তর্ভুক্ত করে একটি ভুয়া চুক্তি করে। ভুয়া চুক্তির মাধ্যমেই প্রতারক চক্রটি ভিকটিমের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। কয়েকজন ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বৈধ না অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে অপর একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কয়েকজনের পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। অনেকেই ব্যবসার উদ্দেশে বাংলাদেশে এসেছে। পরে তারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়েছে। ওই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।