গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে গণশুনানি চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। এক বছরের মধ্যেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভবনের সামনে তারা এই বিক্ষোভ করে।
আজ রোববার সকালের ওই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত বছরও আমরা এভাবে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ার প্রতিবাদে এখানে বিক্ষোভ করেছিলাম। এক বছরের মধ্যে আবারও দাম বাড়ানো নীতিবিরুদ্ধ। কিন্তু বিইআরসি তা মানছে না। গতবার সরকার ২৭ শতাংশ দাম বাড়ায়। এবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ১৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি জনগণের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনবে।
বক্তারা আরও বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাসাভাড়া, যানবাহনের ভাড়া, চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে দেশের বিশাল অংশের শ্রমজীবী মানুষের ওপর। তারা খুব কষ্টে থাকে।
দেশের শিল্প ও বস্ত্র মালিকেরাও সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করেছেন বলে জানান বক্তারা। গ্যাসের দাম বাড়লে শিল্প উৎপাদন খরচও অনেক বেড়ে যাবে। এতে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, সরকার সমন্বয়ের নামে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে যারা সিলিন্ডারে গ্যাস বিক্রি করেন তাদের লাভ হবে। জনগণের নয়।
জনস্বার্থে গ্যাসের দাম না বাড়াতে সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য মনিরুদ্দিন পাপ্পুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, বাচ্চু ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিক প্রমুখ।