রাজধানীতে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী ব্লক রেড অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই রাজধানীর প্রত্যেক থানায়ই পুলিশ কোথাও না কোথাও অভিযান চালাচ্ছে।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবারও শুক্রবাদ এলাকার একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ১০ শিক্ষার্থীসহ ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তেজগাঁও জোনের এডিসি আনিসুর রশিদ বলেন, শুক্রবাদের একটি চারতলা বাড়িতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১০ শিক্ষার্থীরাসহ ১২ জনকে আটক করা হয়। ওই ভবনে জামিয়াতুস সালিহীন মাদরাসাও রয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে দুজন ওই মাদরাসার শিক্ষক।
তিনি বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ ভবনটিতে অভিযান চালানো হয়। চারতলার এ ভবনটিতে মাদরাসার পাশাপাশি মেস বাসাও রয়েছে। ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার দুটি রুমে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ভাড়া থাকতেন। মূলত ওই মেস বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, অভিযানে সন্দেহভাজন হিসেবে মেস বাসার শিক্ষার্থীরা ও মাদরাসার শিক্ষকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ওই বাসায় তাদের সাথে থাকা কম্পিউটার ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের মোবাইলে বাঁশের কেল্লাসহ কিছু উগ্রবাদীর সংগঠনের ভিডিও ও ছবি পাওয়া গেছে। তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হচ্ছে।
আটককৃততের মধ্যে একজনের নাম শাহিরুন হুদা। তিনি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি (ইইই) বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি জানান, ওই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় তারা ১২ জন শিক্ষার্থী একসাথে থাকতেন।
জানা গেছে, গত বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে আজিমপুর নিউ পল্টন এলাকার কয়েকটি মেসে অভিযান চালায় লালবাগ থানা পুলিশ। ওই এলাকার ৩/৪টি ভবনের প্রায় ৩০-৩৫টি ব্যাচেলর মেসে অভিযান চালালেও সন্দেহভাজন কাউকে আটক কিংবা কোনো ধরনের সরঞ্জমাদি পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে লালবাগ জোনের এডিসি মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, রাত সোয়া ১২টার দিকে নিউ পল্টনের ২৪ নম্বর বাসায় অভিযান চালানো হয়। মেসটি দেখে আমরা বুঝতে পেরেছি এখানে কোনো ধরনের ঘাপলা নেই। তাছাড়া ওই মেসের লোকজনও আমাদের সহায়তা করেছেন। পরে ভবনের অন্যান্য মেসগুলোতেও রেড দেয়া হয়। তবে এতে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ওই মেসের বাসিন্দা পলাশ মাহমুদ বলেন, পুলিশ আমাদের কাছে যা জানতে চেয়েছে আমরা সত্যিটা বলেছি। এ কারণে আমার হয়রানির শিকারও হইনি।
লালবাগ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, প্রায় ৩০-৩৫টি মেসে রেড দেয়া হয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়।